সৌদি আরবের রিয়াদে বাংলাদেশ দূতাবাসে যথাযথ মর্যাদায় পালিত হয়েছে জাতীয় গণহত্যা দিবস। শনিবার দিবসটি পালন করে রিয়াদে বাংলাদেশ দূতাবাস।
দূতাবাস জানায়, দিবসটি উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে সংঘটিত ভয়াল গণহত্যার বিচার ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দাবি করেছেন সৌদি প্রবাসি বাংলাদেশিরা।
আলোচনা অনুষ্ঠানে দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর দেয়া বাণী পাঠ করা হয়। এছাড়া মুক্তিযুদ্ধে নিহত শহীদদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
আলোচনা সভায় দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স আবুল হাসান মৃধা বলেন, ১৯৭১ সালের মার্চ মাসে বাংলাদেশের মানুষের ন্যায্য অধিকার আদায়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের চলমান আন্দোলন প্রতিহত করতে ইয়াহিয়া ভুট্টোর নীলনকশায় ২৫ মার্চ কালরাতে বাংলাদেশের নিরস্ত্র মানুষের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। নির্মমভাবে হত্যা করে শত শত নিরস্ত্র মানুষকে। এদিন মধ্যরাতের পর ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দেন, যা তৎকালীন ইপিআর ট্রান্সমিটারের মাধ্যমে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে সাড়া দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে বাংলার মানুষ। দীর্ঘ নয় মাসের সশস্ত্র সংগ্রাম শেষে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর অর্জিত হয় আমাদের চূড়ান্ত বিজয়।
আবুল হাসান মৃধা বলেন, ২৫ মার্চকে জাতীয় গণহত্যা দিবস হিসেবে পালনের প্রস্তাব সর্বসম্মতভাবে গৃহীত হয় জাতীয় সংসদে এবং ২০১৭ সাল থেকে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। গণহত্যা দিবস পালন বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামে নিহত ৩০ লাখ শহীদের আত্মত্যাগের স্বীকৃতির পাশাপাশি পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নির্মম গণহত্যার বিরুদ্ধে চরম প্রতিবাদের প্রতীক।
তিনি বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সংঘটিত গণহত্যার বিচার হয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহ গণহত্যা থেকে শুরু করে বিভিন্ন গণহত্যার বিচার হয়েছে। তাই ১৯৭১ সালে সংঘটিত ভয়াবহ গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি জরুরি।
অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধের শহীদ, জাতির পিতা ও তার পরিবারের শহীদ সদস্য এবং দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়। অনুষ্ঠানে জহির রায়হানের স্টপ জেনোসাইড চলচ্চিত্রটি প্রদর্শন করা হয়।