আবুল কালাম আজাদ (রাজশাহী):- রাজশাহী নগরীর বোয়ালিয়া থানা (পূর্ব) আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সিটি হাটের ইজারাদার আতিকুর রহমান কালুর বাড়িতে শনিবার দিবাগত গভীর রাতে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে রাতেই বেশ কিছু আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারসহ ২ জনকে আটক করে।
উদ্ধারকৃথ অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে দুইটি সর্টগান,একটি পিস্তল, তিনটি ম্যগজিন ও শতাধিক রাউন্ড ।এসময় সন্ত্রাসীদের বহনের কাজে ব্যাবহৃত কালো রংয়ের একটি প্রাইভেট কারও জব্দ করা হয়।
আটক দুজন হলেন, প্রাইম ব্যাংকের সাবেক পরিচালক ওয়াহিদ জামিল মুরাদ ও তার ব্যক্তিগত সহকারী জাহিদ আলম সম্রাট।
নগরীর বোয়ালিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মাজহারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, শনিবার রাত দুইটার দিকে রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া (পূর্ব) থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি আতিকুর রহমান কালুর বাড়ীতে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে কয়েক রাউন্ড গুলি ছুড়ে পালিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। ঘটনার পরেই অভিমান চালিয়ে ,দুইটি সর্টগান,একটি পিস্তল, তিনটি ম্যগজিন ও শতাধিক রাউন্ড গুলিসহ ২ জনকে আটক করা হয়েছে। এসময় সন্ত্রাসীদের বহনের কাজে ব্যাবহৃত কালো রংএর প্রাইভেট কারও জব্দ করা হয়।
আটককৃতদের পরিবারের লোকজন বলছেন, আতিকুর রহমান কালুর নিকট থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা পাবেন ওয়াহিদ জামিল। ওই টাকা দিতে গড়ি-মশি করছিলেন । এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওয়াহিদ জামিল রাতে কালুর বাড়িতে রাগে গিয়ে গুলি ছুড়েন।
তবে আওয়ামী লীগ নেতা আতিকুর রহমান কালু দাবি করেছেন, তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি ছোড়া জামিল ওয়াহিদ মুরাদকে তিনি চেনে না। এমনকি মুরাদও আমাকে চেনেন না। আমার বাড়িতে এসে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি ছুড়লেও তিনি আমাকে কেন হত্যা করতে এসেছিলেন সেটা জানি না। জামিল ওয়াহিদ আমার সঙ্গে কথার বলার সময়ও আমাকে চিনতে পারেননি। পরে আমি পরিচয় দেওয়ামাত্র তিনি আমাকে হত্যার জন্য আবারও গুলি ছুড়েন। সেই গুলি গিয়ে লাগে বাড়ির দরজায়। আমি অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেছি।
এ বিষয়ে রাতেই থানায় মামলা হয়েছে।