উজান থেকে আসা ঢল ও কয়েক দিনের বৃষ্টিতে ঘাঘট, করতোয়া, ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বাড়তে শুরু করেছে। এমন পরিস্থিতিতে গাইবান্ধার নিম্নাঞ্চলে বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, বৃষ্টিপাত বাড়লে বা ভারত থেকে উজানের পানি আসলে পরিস্থিতি গুরুতর হতে পারে। ইতিমধ্যে ১২০ চরের নিম্নাঞ্চলে নদীর পানি প্রবেশ করেছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ফুলছড়ির তিস্তামুখ পয়েন্টে ২ সেন্টিমিটার, ঘাঘট নদীর পানি জেলা শহরে নতুন ব্রিজ পয়েন্টে ৪ সেন্টিমিটার, করতোয়ার পানি গোবিন্দগঞ্জের কাটাখালি পয়েন্টে ৪৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে তিস্তার পানি সুন্দরগঞ্জ পয়েন্টে ১৫ সেন্টিমিটার কমেছে।
বৃহস্পতিবার (২২ জুন) সকাল ৯টা থেকে আজ শুক্রবার সকাল ৯টা পর্যন্ত এ পরিমাণ পানি বৃদ্ধি ও কমেছে।
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাফিজুল হক বলেন, জেলার সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি, সদর, সাঘাটার নদনদীর পানি স্বাভাবিক বেড়েছে। নদীতীরবর্তী চরাঞ্চলের কিছু এলাকায় পানি উঠেছে। তবে বন্যা প্রতিরক্ষা বাঁধের ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলো মেরামত করা হয়েছে। এছাড়াও জিওব্যাগে বালু ভরে সংরক্ষণ করা হয়েছে।
হাফিজুল হক আরও বলেন, বৃষ্টি ও উজান থেকে পানি আসলে ২৫ জুনের দিকে বন্যা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কোনো নদীর পানিই বিপৎসীমা অতিক্রম করেনি। সব নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে তিস্তার পানি কমলেও ক্রমেই বহ্মপুত্র, ঘাঘট, করতোয়া নদ- নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে মানুষের মাঝে উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে।