ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আলোচিত ইউটিউবার আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম। কিন্তু নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে রাজধানীর অভিজাত এলাকা গুলশানের বাসা-বাড়িতে ঢুকতে পারছেন না তিনি। অভিযোগ উঠেছে, কিছু কিছু বাসায় ঢুকতে বারণ করা হয়েছে হিরো আলমকে।
তার সমর্থকরা জানান, বাসা-বাড়িতে ঢুকতে না পেরে শুধুমাত্র মূল সড়কে জনসংযোগ করে প্রচারণা চালাতে বাধ্য হচ্ছেন হিরো আলম। যদিও অসুস্থতার কারণে সরাসরি নির্বাচনী প্রচারণায় দেখা যাচ্ছে না তাকে। তার নির্বাচনী সেলে যারা নিয়োজিত আছেন তাদেরই এখন প্রচারণা চালাতে দেখা যাচ্ছে।
হিরো আলমের ঘনিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, নির্বাচনী প্রচারণায় আপাতত থাকছেন না আলোচিত এই ইউটিউবার। তবে প্রচারণার শেষ দিন মহাখালীর সাততলা বস্তিতে যাবেন হিরো আলম।
সমর্থকদের অভিযোগ, নানা প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে হিরো আলমের নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে হচ্ছে। দেখা যাচ্ছে, গুলশানে রাতে পোস্টার লাগালে দিনের বেলা তার হদিস নেই। অন্য প্রার্থীদের ক্ষেত্রে এসব সমস্যা হচ্ছে না। কিন্তু বাসা-বাড়িতে ঢুকতে না পারায় বাধাগ্রস্ত হচ্ছে হিরো আলমের জনসংযোগ কার্যক্রম।
আজ বুধবার (১২ জুলাই) সরেজমিনে দেখা যায়, রাজধানীর অভিজাত এলাকাটিতে নির্বাচনী আমেজের লেশমাত্র নেই।
জানতে চাইলে গুলশান-১ এর ১৩ নম্বর রোডের একটি ভবনের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আসাদুজ্জামান দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘এই বাসায় শুধুমাত্র মালিক থাকেন। অন্য কাউকে ভাড়া দেওয়া হয়নি। মালিকের অনুমতি ছাড়া বাইরের লোক ঢুকতে দেওয়া হয় না। নির্বাচনী প্রচারণার জন্য হিরো আলমকে কীভাবে ঢুকতে দেই বলেন?’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে আরেকটি ভবনের ম্যানেজার বলেন, ‘আমাদের এই ভবনে যারা থাকেন তারা খুব প্রভাবশালী। সংসদ সদস্য রয়েছেন। অনেক মন্ত্রী এখানে এসে আড্ডা দেন। সেখানে হিরো আলমের মতো একজন কীভাবে নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে আসবে?’
গুলশানের বাসিন্দা মো. সাইফুল দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘এই এলাকার বেশিরভাগ মানুষের কাছে উপনির্বাচন নিয়ে তেমন কোনো মাথাব্যথা নেই। নির্বাচনে যে কেউ দাঁড়াতে পারে। সেখানে হিরো আলমও নির্বাচন করছে। অন্য এলাকায় যে কেউ বাসা-বাড়িতে ঢুকলেও গুলশানে সবাই তা পারে না। আবার ইচ্ছে করে অনেক প্রার্থী বাসা-বাড়িতে না ঢুকে বাইরে থেকে পোস্টার দিয়ে প্রচারণা চালায়।’
এ বিষয়ে হিরো আলমের অফিসে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি। অসুস্থ থাকায় একটি হাসপাতালে রয়েছেন তিনি। দেশ রূপান্তর থেকে তাকে একাধিকবার ফোন করেও পাওয়া যায়নি।
পরে তার নির্বাচন মনিটরিং টিমের সদস্য মো. সুজন রহমান শুভ দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘নির্বাচনে আমরা প্রথম দিন থেকে হামলার শিকার হয়েছি। মহাখালীর সাততলা বস্তিতে প্রচার চালানোর সময় হামলার পর থেকে হিরো আলম অসুস্থ। সে কারণে সরাসরি প্রচারণায় অংশ নিতে পারছেন না তিনি।’
নির্বাচন মনিটরিং টিমের এই সদস্য আরও বলেন, ‘প্রচারণা চালানোর সময় অনেকে বাধা সৃষ্টি করতে চায়। গুলশানে আমাদের পোস্টার রাতে লাগালে দিনে পাওয়া যায় না। অনেক জায়গায় আমাদের পোস্টারের ওপর পোস্টার দিয়ে দিচ্ছে। তবে গুলশানের বাসা-বাড়িতে আপাতত যাচ্ছি না।’