ঢাকা , শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৮ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোঃ শামীম আহসানকে বিদায় সংবর্ধনা পিরোজপুরে জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি ও জাতীয় পা‌র্টির ৫০ নেতাকর্মী  ফরিদগঞ্জে ৩য় মিনি ফুটবল টুর্নামেন্টের শুভ উদ্বোধন বরিশাল বন কর্মকর্তার ১৭ স্ত্রী, বিচার দাবিতে মানববন্ধন নির্বাচনের আগে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে বড় রদবদলের আভাস বড়াইগ্রামে স্বেচ্ছাসেবক দলের পারস্পারিক মতবিনিময় সভা কাপ্তাইয়ে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু, আত্মহত্যা বলে প্রাথমিক ধারণা জামায়াতে ইসলামী ‘একটি চিতাবাঘ, যার দাগ বদলায় না’- হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা ইসরাইলের ঔদ্ধত্যে মধ্যপ্রাচ্যে বাংলাদেশি প্রবাসীদের নিয়ে উদ্বিগ্ন তারেক রহমান পাংশায় জামায়াতের ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন

‎গোড়াই হাইওয়ে থানার ওসি জসিমের নানান অপকর্ম, রেহাই পায়নি ভাঙ্গারি দোকানদার

‎মাসুদ পারভেজ, স্টাফ রিপোর্টার

একের পর এক অপকর্ম করেই যাচ্ছেন মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মো. জসিম উদ্দিন।তার এমন অপকর্মে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে ভুক্তভোগীরা,রেহাই পাচ্ছে না স্থানীয়রাও এবং তার সহকর্মীদের সাথেও চলছে মনমালিন্য।কারো সাথেই যেন যাচ্ছে না তার সুসম্পর্ক।এর পেছনে একটাই কারন তার বেপরোয়া চাঁদাবাজি।

‎ওসি জসিম উদ্দিন গোড়াই হাইওয়ে থানায় যোগদান করেছে কেবলই ৩ মাস হলো।এরই মধ্যে সে যে পরিমান চাঁদাবাজি করেছে তা এরপূর্বের কোন ওসি করার সাহস পায় নি বলেও দাবি করেন স্থানীয়রা।

‎ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের গোড়াই হাইওয়ে থানা এলাকায় সিএনজি,ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা,লেগুনা,মিনি বাস,ফুটপাতের দোকান সহ নানান জায়গা থেকে দৈনিক এবং মাসিক চাঁদা নেন ওসি জসিম উদ্দিন।এরই মধ্যে বিভিন্ন বাসের কাউন্টার থেকেও তাকে দিতে হয় মাসিক চাঁদা।চাঁদা না দিলে গাড়ি ধরে থানায় নিয়ে দেখানো হয় মামলার ভয়।ফলে কোন উপায় না পেয়ে বাধ্য হয়েই ভুক্তভোগীরা টাকা দিয়ে দেয়।

‎অবৈধ প্রতি বাঁশের গাড়ি থেকে নেয়া হয় ২০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা,কাঁচামালের গাড়ি আটকিয়ে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত নিয়েছে,সড়ক দূর্ঘটনা হলে সেই গাড়িগুলো থেকেও নেয়া হয় ৫০০০-২০০০০ হাজার টাকা।

‎ট্রাক ড্রাইভার মালেক,বাঁশের গাড়ির ড্রাইভার করিম ও লেগুনার ড্রাইভার রাসেল বলেন,হাইওয়ে থানার ওসিকে প্রতি মাসে চাঁদা দিতে হয়।না দিলে নানান ঝামেলা করে।কি করুম,চাঁদা দিয়েই চালাই!

‎ভাঙ্গারি দোকানদার জহির বলেন,আমি একদিন আমার মালামাল গাড়িতে লোড দিচ্ছি।এমন সময় ওসি আসে।সে আমাকে বলে রাস্তা কি তোর বাবার,রাস্তায় গাড়ি রেখে মাল লোড দিস,একটু পর থানায় এসে দেখা করিস।পরে আমি থানায় গিয়ে ১ হাজার টাকা দিয়ে আসি।

‎গোড়াই হাইওয়ে থানার সামনে দিয়েই চলে নানান অবৈধ গাড়ি।এতে কেউ দেখার মতো নেই।মনে হয়,হাইওয়ে থানার পুলিশের চোখে আঙুল দিয়েই চলে ওইসব গাড়ি।প্রশ্ন হচ্ছে,তাহলে কেন এই অবৈধ গাড়িগুলো মহাসড়ক দিয়ে চললেও পুলিশ কিছু বলে না,কারন পরিষ্কার।ওসিকে প্রতি মাসে চাঁদা দিয়েই তারা চলে।

‎যেখানে প্রত্যেক থানার ওসিরা হবে জনবান্ধব,সেখানে এই থানার ওসি একটু ব্যাতিক্রম।তার সাথে কথা বলতে গেলে সবারই লাগে পারমিশন।হাইওয়ে থানার ওসি বসেন দ্বিতীয় তলায়,আর সে সবসময় একজন কনস্টেবল নিচতলায় রাখেন।কারন যেকেউ ওসির সাথে দেখা করতে গেলে ঐ কনস্টেবল প্রথমেই বাঁধা প্রদান করেন।ঐ কনস্টেবলের অনুমতি নিয়ে তারপর এই ওসি জসিম উদ্দিনের সাথে দেখা করতে হয়।

‎ভুক্তভোগীদের সাথে কথা বললে তারা আরোও বলেন,মনে করেছিলাম সরকার পতনের পর হয়তো আমরা স্বাধীন হয়েছি।কিন্তু না,এই ওসির চাঁদাবাজির পরিমান এত বেশি যে,আমরা তার নিকট জিম্মি হয়ে আছি।আমরা তার কাছ থেকে মুক্তি চাই।তারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট সুদৃষ্টি কামনাও করেন।

‎এ বিষয়ে হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মো. জসিম উদ্দিনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, “এসব বিষয়ে আমি জড়িত না। আমি ফোনে কোন বক্তব্য দেব না, আসেন আপনার সাথে বসে একটু চা খাই।”


ট্যাগ :

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপডেটের সময় : ০১:৫৬:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৫
১৪৪৬ Time View

‎গোড়াই হাইওয়ে থানার ওসি জসিমের নানান অপকর্ম, রেহাই পায়নি ভাঙ্গারি দোকানদার

আপডেটের সময় : ০১:৫৬:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৫

একের পর এক অপকর্ম করেই যাচ্ছেন মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মো. জসিম উদ্দিন।তার এমন অপকর্মে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে ভুক্তভোগীরা,রেহাই পাচ্ছে না স্থানীয়রাও এবং তার সহকর্মীদের সাথেও চলছে মনমালিন্য।কারো সাথেই যেন যাচ্ছে না তার সুসম্পর্ক।এর পেছনে একটাই কারন তার বেপরোয়া চাঁদাবাজি।

‎ওসি জসিম উদ্দিন গোড়াই হাইওয়ে থানায় যোগদান করেছে কেবলই ৩ মাস হলো।এরই মধ্যে সে যে পরিমান চাঁদাবাজি করেছে তা এরপূর্বের কোন ওসি করার সাহস পায় নি বলেও দাবি করেন স্থানীয়রা।

‎ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের গোড়াই হাইওয়ে থানা এলাকায় সিএনজি,ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা,লেগুনা,মিনি বাস,ফুটপাতের দোকান সহ নানান জায়গা থেকে দৈনিক এবং মাসিক চাঁদা নেন ওসি জসিম উদ্দিন।এরই মধ্যে বিভিন্ন বাসের কাউন্টার থেকেও তাকে দিতে হয় মাসিক চাঁদা।চাঁদা না দিলে গাড়ি ধরে থানায় নিয়ে দেখানো হয় মামলার ভয়।ফলে কোন উপায় না পেয়ে বাধ্য হয়েই ভুক্তভোগীরা টাকা দিয়ে দেয়।

‎অবৈধ প্রতি বাঁশের গাড়ি থেকে নেয়া হয় ২০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা,কাঁচামালের গাড়ি আটকিয়ে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত নিয়েছে,সড়ক দূর্ঘটনা হলে সেই গাড়িগুলো থেকেও নেয়া হয় ৫০০০-২০০০০ হাজার টাকা।

‎ট্রাক ড্রাইভার মালেক,বাঁশের গাড়ির ড্রাইভার করিম ও লেগুনার ড্রাইভার রাসেল বলেন,হাইওয়ে থানার ওসিকে প্রতি মাসে চাঁদা দিতে হয়।না দিলে নানান ঝামেলা করে।কি করুম,চাঁদা দিয়েই চালাই!

‎ভাঙ্গারি দোকানদার জহির বলেন,আমি একদিন আমার মালামাল গাড়িতে লোড দিচ্ছি।এমন সময় ওসি আসে।সে আমাকে বলে রাস্তা কি তোর বাবার,রাস্তায় গাড়ি রেখে মাল লোড দিস,একটু পর থানায় এসে দেখা করিস।পরে আমি থানায় গিয়ে ১ হাজার টাকা দিয়ে আসি।

‎গোড়াই হাইওয়ে থানার সামনে দিয়েই চলে নানান অবৈধ গাড়ি।এতে কেউ দেখার মতো নেই।মনে হয়,হাইওয়ে থানার পুলিশের চোখে আঙুল দিয়েই চলে ওইসব গাড়ি।প্রশ্ন হচ্ছে,তাহলে কেন এই অবৈধ গাড়িগুলো মহাসড়ক দিয়ে চললেও পুলিশ কিছু বলে না,কারন পরিষ্কার।ওসিকে প্রতি মাসে চাঁদা দিয়েই তারা চলে।

‎যেখানে প্রত্যেক থানার ওসিরা হবে জনবান্ধব,সেখানে এই থানার ওসি একটু ব্যাতিক্রম।তার সাথে কথা বলতে গেলে সবারই লাগে পারমিশন।হাইওয়ে থানার ওসি বসেন দ্বিতীয় তলায়,আর সে সবসময় একজন কনস্টেবল নিচতলায় রাখেন।কারন যেকেউ ওসির সাথে দেখা করতে গেলে ঐ কনস্টেবল প্রথমেই বাঁধা প্রদান করেন।ঐ কনস্টেবলের অনুমতি নিয়ে তারপর এই ওসি জসিম উদ্দিনের সাথে দেখা করতে হয়।

‎ভুক্তভোগীদের সাথে কথা বললে তারা আরোও বলেন,মনে করেছিলাম সরকার পতনের পর হয়তো আমরা স্বাধীন হয়েছি।কিন্তু না,এই ওসির চাঁদাবাজির পরিমান এত বেশি যে,আমরা তার নিকট জিম্মি হয়ে আছি।আমরা তার কাছ থেকে মুক্তি চাই।তারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট সুদৃষ্টি কামনাও করেন।

‎এ বিষয়ে হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মো. জসিম উদ্দিনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, “এসব বিষয়ে আমি জড়িত না। আমি ফোনে কোন বক্তব্য দেব না, আসেন আপনার সাথে বসে একটু চা খাই।”