জবি প্রতিনিধি : –
২২টি পাবলিক ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ে অনুষ্ঠিত গুচ্ছ ভর্তি পরিক্ষা শেষ হলো আজ। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রে ছিল শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ছিল যথেষ্ট ভিড়।
দেশের রাজধানী ও প্রধান কেন্দ্র হিসেবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে এসেছেন সি ইউনিটের পরিক্ষার্থীরা। দুপুর ১২টায় পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ায় ১ঘন্টা পূর্ব থেকে যথেষ্ট নিরাপত্তা নিশ্চিত করে কেন্দ্রে পরিক্ষার্থীদের প্রবেশের অনুমতি দেয় কর্তৃপক্ষ। এসময় শিক্ষার্থীদের এডমিট কার্ডের সাথে ছবি মিলিয়ে প্রবেশ করানো হয়।
যারা মাক্স ব্যবহার করে নিরাপত্তার স্বার্থে তাদের মাক্স খুলে কেন্দ্রে প্রবেশ করান কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও মোবাইল ফোন, ডিজিটাল ঘড়ি,বই, খাতা, নোট, বিভিন্ন ইলেকট্রিক ডিভাইস সহ সকল অবৈধ ডিভাইস নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল। গত দুই পরিক্ষার (বিজ্ঞান ও মানবিক) তুলনায় আজকের নিরাপত্তাব্যবস্থা ছিল একটু কঠোর।
এছাড়াও শিক্ষার্থীদের যাতে কোন ঝামেলায় জড়াতে না হয় এজন্য দায়িত্ব পালন করছেন জেলা ছাত্রকল্যাণ সংগঠনগুলো। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান গেইটে, বাহাদুর শাহ পার্কে দেশের সকল জেলার শিক্ষার্থীরা হেল্প ডেক্স নিয়ে বসেন। আগত শিক্ষার্থীদের মোবাইল,বই,খাতা,কাপড়,ব্যাগসহ সকল অনুষাঙ্গিক জিনিস আমানত হিসেবে নিজেদের জিম্মায় রাখেন।
বিভিন্ন জেলা থেকে আগত পরিক্ষার্থীদের অভিভাবকেরাও ভুগছেন নানা সমস্যায়। পূর্বঘোষিত নিয়ম অনুযায়ী কোনো অভিভাবকদের কেন্দ্রে প্রবেশ করতে না দেওয়ায় তারা অবস্থান করছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বাহাদুর শাহ পার্কে। কেন্দ্রের বাইরে পুলিশ বাহিনী দায়িত্বে থাকলেও রাস্তায় ছিল যথেষ্ট যানজট। বাহাদুর শাহ পার্ক থেকে মোবাইল, মানিব্যাগ, শিক্ষার্থীদের ব্যাগসহ বিভিন্ন জিনিস হারানো অভিযোগ তুলেছেন অভিভাবকরা। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে জিজ্ঞাসা করলে বলেন, আমাদের ক্যাম্পাস এরিয়া যথেষ্ট ছোট হওয়ায় আমরা অভিভাবকদের জায়গা দিতে পারছি না। এছাড়াও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা, কেন্দ্রের পরিবেশ মনোরম রাখার বিষয়টি মাথায় রেখে অভিভাবকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল। তবে আমরা বাইরে পুলিশবাহিনী মোতায়েন করেছি।
পরিক্ষাকেন্দ্রসমূহ পর্যবেক্ষণ করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.ইমদাদুল হক ও চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং গুচ্ছ টেকনিক্যাল ইউনিটের সভাপতি অধ্যাপক ড. নাছিম আখতার,বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড.কামালউদ্দীন আহমদ সহ বিভিন্ন প্রশাসনিক কর্মকর্তা।
কেন্দ্র পর্যবেক্ষণ শেষে একটি প্রেস ব্রিফিং এ উপাচার্য বলেন, সকল বিধিবিধান নিশ্চিত করেই আজকের পরিক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। আমরা হলসমূহ ঘুরে দেখলাম সবাই সুষ্ঠভাবেই পরিক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে। প্রশ্নের মান সম্পর্কে বলেন, গোপনীয়তা নিশ্চিত করার জন্য ও যথেষ্ট সময়-সুযোগ না পাওয়ায় একটু সমস্যা ছিল।তবে এটা বড় কোন সমস্যা না এবং শিক্ষার্থীদের এতে বিশেষ কোন সমস্যাও হয় নি।
উল্লেখ্য পরিক্ষার্থীদের অধিকাংশ শিক্ষার্থী বলেন, আজকের পরিক্ষা মোটামুটি সহজ ছিল। গুচ্ছের সর্বশেষ পরিক্ষা হওয়ায় আমরা অনেক সময় প্রস্তুতি নেওয়ার সুযোগ পেয়েছি। এই পরিক্ষায় মোটামুটি ভালো করে পড়ে থাকলেই কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাবে বলে আশাবাদী সবাই।-