র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই দেশের সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরণের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাব নিয়মিত জঙ্গী, সন্ত্রাসী, সংঘবদ্ধ অপরাধী, অস্ত্রধারী অপরাধী, ছিনতাইকারীসহ মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে আসছে। “চলো যাই যুদ্ধে, মাদকের বিরুদ্ধে” শ্লোগানকে সামনে রেখে মাদক নির্মূলে র্যাব মাদক বিরোধী অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ থানাধীন সোনাতলা এলাকায় আপন দুই ভাই ভিকটিম মোঃ আঃ রফিক কবিরাজ ও মোঃ জাহাঙ্গীর আলম কবিরাজ এর মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত জায়গা জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। গত ০৬/০২/২০২২ ইং তারিখ ভিকটিমের জমি নিজ নামে খারিজ করার জন্য তার ছোট ভাইয়ের নিকট জমির কাগজপত্র চাইলে জাহাঙ্গীর তা দিতে অস্বীকার করে। এটা নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি থেকে মারামারি শুরু হয়। মারামারির একপর্যায়ে জাহাঙ্গীর তার বড় ভাই আঃ রফিক’কে হত্যার উদ্দেশ্যে গলা চেপে ধরে। রফিকের ডাক-চিৎকার শুনে রফিকের স্ত্রী ও মেয়েসহ আশেপাশের লোকজন আসলে জাহাঙ্গীর রফিক’কে মাটিতে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায়। রফিক এর অবস্থা আশংখ্যাজনক হওয়ায় স্থানীয় লোকজন তাকে নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার রফিক’কে মৃত বলে ঘোষনা করেন। পরবর্তীতে মৃত রফিক এর স্ত্রী বাদী হয়ে নবাবগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৪ মে ২০২২ খ্রিঃ আনুমানিক ১৯:০৫ ঘটিকায় র্যাব- ১০ এর একটি আভিযানিক দল রাজধানী ঢাকার কোতয়ালী থানাধীন মিটফোর্ড এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ থানার মামলা নং ০৪, তারিখ ০৭/০২/২০২২ খ্রিঃ, ধারা- দন্ড বিধি আইনের ৩০২ ধারা (চাঞ্চল্যকর ভাইয়ের হাতে ভাই হত্যা) মামলার এজাহার নামীয় প্রধান আসামী মোঃ জাহাঙ্গীর আলম কবিরাজ (৪৫)’কে গ্রেফতার করে। জিজ্ঞাসাবাদে নুরুল উক্ত হত্যা কান্ডের সাথে তার সংশ্লিষ্টতার সত্যতা স্বীকার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।