খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, চালের দাম বৃদ্ধির কারসাজিতে জড়িতদের কোনোভাবেই ছাড় দেয়া হবে না। দরকার পড়লে সরকার শুল্ক কমিয়ে চাল আমদানি করবে।
বুধবার (৩১ জানুয়ারি) বিকেলে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সর্বস্তরের চাল ব্যবসায়ীদের নিয়ে চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে করণীয় শীর্ষক মতবিনিময় সভা শেষে তিনি এ কথা বলেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, রমজান মাসে জিনিসের দাম কম থাকবে আর ১১ মাস বেশি থাকবে তা কাম্য নয়। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ হচ্ছে দ্রব্যমূল্য কমাতে হবে। আশা করছি আমরা কামিয়াব হবো। সব জায়গায় আমাদের অভিযান শুরু হয়েছে। ধান কিনে কে রাখে, মজুত কে করে সেটা জানতে আমাদের অভিযান শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যেই আমরা সাকসেসফুল হয়েছি। চালের দাম হঠাৎ করে যেটা বৃদ্ধি পাচ্ছিল, যদি আমরা অভিযান না চালাতাম তাহলে বেপরোয়াভাবে বাড়তো। চালের দাম নিম্নগতি হয়েছে। কুষ্টিয়ার বাজারে কমেছে। প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। অনিয়ম করার জন্য জেল-জরিমানা হচ্ছে। অনিয়ম করলে লাইসেন্স বাতিল হবে, মিল বন্ধ হবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, চালের দাম ছয় টাকা থেকে আরও ছয় টাকা বাড়াইনি। সরু চালের সিজন শেষের দিকে ফেব্রুয়ারি থেকে বাড়ে এবং মার্চ এপ্রিল পর্যন্ত একটু বাড়তি থাকে।
তিনি আরও বলেন, মিল মালিকরা চালের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। তারপর পাইকারি আড়তদাররা বাড়িয়ে দেয়, খুচরা ব্যবসায়ীরাও ৩/৪ টাকা বাড়িয়ে দেয়। সর্বস্তরেই চাল ব্যবসায়ীরা লোভের মধ্যে পড়ে গেছেন। লোভের মধ্যে পড়ে গিয়ে দাম বাড়িয়েছেন। পাশাপাশি সরকারকে বেকায়দায় ফেলার একটা ব্যাপার রয়েছে। অন্তবর্তীকালীন অতি মুনাফার একটা সুযোগ নিয়েছে তারা।
কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক এহেতেশাম রেজার সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ইসমাইল হোসেন ও খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাখাওয়াত হোসেন। এ সময় কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এ এইচ এম আবদুর রকিব, কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সদর উদ্দিন খান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. হায়াত মাহমুদ, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পার্থ প্রতীম শীল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আবু রাসেল, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কুষ্টিয়ার সহকারী পরিচালক সুচন্দন মন্ডল, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ বাবুল হোসেন, বাংলাদেশ অটো মেজর অ্যান্ড হাসকিং মিল মালিকদের কেন্দ্রীয় সংগঠনের সভাপতি আব্দুর রশিদসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, মিল মালিক ও চাল ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।