একসঙ্গে ঘুমনো যাবে না। করা যাবে না আলিঙ্গন। এমনকি চুম্বন করা থেকেও নিজেদের বিরত রাখতে হবে। কোভিড-বিধ্বস্ত চীনের সাংহাই শহরে এমনই কড়া নির্দেশিকা জারি করল প্রশাসন। যা নিয়ে রীতিমতো ক্ষোভ দানা বেঁধেছে শহরবাসীদের মধ্যে। সম্প্রতি একটি ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে স্বাস্থ্যকর্মীরা মাইকে এই বার্তাই দিচ্ছেন বাসিন্দাদের।
কর্মীরা সেখানকার একটি হাউজিং সোসাইটির বাসিন্দাদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আজ রাত থেকে, দম্পতিদের আলাদাভাবে ঘুমানো উচিত। চুম্বন করবেন না। আলিঙ্গন করবেন না। পৃথকভাবে খাওয়া-দাওয়া করুন। সহযোগিতার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ’।
দরজা, জানলা খুলতেও নিষেধ করা হয়েছে। বারণ করা হয়েছে গান গাইতেও! এমনকি এক সঙ্গে খাওয়াও যাবে না। খেতে হলে আলাদা আলাদা ভাবে খাওয়াদাওয়া করতে হবে। এমন নানাবিধ বিধিনিষেধে জেরবার গোটা সাংহাই। যখন এই বিধিনিষেধ সামলাতে ব্যস্ত গোটা শহর, আরও এক দফা বিধিনিষেধ নিয়ে হাজির প্রশাসন।
খাবার সরবরাহ নিয়েও শহরবাসীদের মধ্যে ক্ষোভ জন্মাচ্ছে। তাদের অভিযোগ, বিধিনিষেধের খপ্পরে পড়ে খাবারের জোগান কমে গিয়েছে। ঠিক মতো খাবার পৌঁছাচ্ছে না বাসিন্দাদের কাছে। জানলা খুলে, ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে শহরবাসীরা প্রতিবাদ শুরু করতেই ড্রোনের মাধ্যমে তাদের কাছে বার্তা পাঠানো হয় প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতা করার। একই সঙ্গে হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়, জানলা যেন না খোলা হয়। এমনকি গানও গাওয়া যাবে না।
এক সপ্তাহ আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আসা ভিডিওতে দেখা যায়, চার পায়ের রোবট সাংহাইয়ের সড়কে টহল এবং স্বাস্থ্য সচেতনতামূলক বার্তা ঘোষণা দিচ্ছে।
নতুন করে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের হটস্পটে পরিণত হয়েছে সাংহাই। গত কয়েক দিন ধরে দৈনিক সংক্রমণ কমে গেলেও অন্যান্য দেশের তুলনায় তা উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেশি। শহরটির ২ কোটি ৬০ লাখ বাসিন্দাকে বাড়িতে থাকতে বলা হয়েছে।