এক চুমুকাণ্ডেই যেন সব হারাতে বসেছে স্পেন ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি লুইস রুবিয়ালেস। বিশ্বকাপের ফাইনালে পুরস্কার বিতরণের সময়ে নারী ফুটবলার হেনিফার হারমোসোর ঠোঁটে চুমু দেয়ার দায়ে রুবিয়ালের ওপরে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা। তার পদত্যাগের জোর দাবি উঠেছে। যদিও নিজে থেকে পদত্যাগ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন তিনি।
শনিবার (২৬ আগস্ট) ফিফার বরাত দিয়ে স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি লুইস রুবিয়ালেসের নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি নিশ্চিত করে সংবাদমাধ্যম বিবিসি। এক খবরে বলা হয়, প্রাথমিকভাবে ৯০ দিনের জন্য ঘরোয়া এবং আন্তর্জাতিক সব ফুটবলীয় কর্মকাণ্ড থেকে রুবিয়ালেসকে বরখাস্ত করেছে ফিফা।
ফিফা তাদের ওয়েবসাইটে বলেছে, ফিফার শৃঙ্খলা কোড ৫১ অনুযায়ী শৃঙ্খলা কমিটির সভাপতি জর্জ ইভান পালাসিও লুইস রুবিয়েলেসকে ফুটবল সম্পর্কিত সব কার্যক্রম থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই স্থগিতাদেশ ২৪ আগস্ট থেকে শুরু করে পরবর্তী ৯০ দিনের জন্য দেয়া হয়েছে। তবে এই নিষেধাজ্ঞা সাময়িক। এদিকে পূর্ণাঙ্গ বিচারের আগে বিষয়টি নিয়ে আর কথা বলবে না বলেও জানিয়েছে ফিফা।
এর আগে এক বিবৃতির মাধ্যমে জানানো হয়, লুইস রুবিয়ালেস স্পেনের ফুটবল প্রধানের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর আগে দেশটির জার্সিতে কোনো নারী ফুটবলার মাঠে নামবেন না। বিবৃতিতে বিশ্বকাপজয়ী স্কোয়াডের ২৩ জনসহ স্পেনের মোট ৮১ জন সাবেক ও বর্তমান নারী ফুটবলার স্বাক্ষর করেন।
শুধু ফুটবলার জেনি হারমোসোকে চুমু দেয়ার কারণেই নয়, স্পেনের বিজয়ের মুহূর্তে স্প্যানিশ রাণী এবং তার ১৬ বছরের মেয়ের সামনে নিজের গোপনাঙ্গ ধরে বাজেভাবে অঙ্গভঙ্গি করেন রুবিয়ালেস। এমন বাজে কাজের জন্যও তদন্তের মুখোমুখি তিনি।
স্পেন ফুটবল প্রধানের দাবি হারমোসোর অনুমতি নিয়েই তাকে চুমু দিয়েছিলেন তিনি। রুবিয়ালেস বলেন, ‘হারমোসো পেনাল্টি মিস করেছিলো। তাই আমি ওকে সান্ত্বনা দিচ্ছিলাম। বলছিলাম ভুলে যাও পেনাল্টির কথা। জিজ্ঞেস করেছিলাম তাকে আমি চুম্বন করতে পারি কি না। ও রাজি ছিল। হঠাৎ করেই হয়েছিল পুরো ঘটনাটা। তবে সম্মতি নিয়েই হয়েছিল। এরপরও আমাকে ফাঁসানো হবে? আমি এর শেষ দেখে ছাড়ব।’
যদিও হারমোসো ওই সময় জানিয়েছিলেন যে, রুবিয়ালেস তাকে চুম্বন করায় তিনি বিরক্ত। শুধু হারমোসোকে চুমু খাওয়াই নয়, রুবিয়ালেস নিজের যৌনাঙ্গ ধরে বাজে অঙ্গভঙ্গি করেও বিশ্বকাপ জয় উদযাপন করেছিলেন। যার জন্য শুক্রবার ক্ষমা চান তিনি।