ঘরের মাঠ জয়পুরে চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে শুরুতে ২০২ রানের বড় স্কোর পেয়েছিল রাজস্থান রয়্যালস। কিন্তু রান তাড়ায় তাদের ধারে কাছেও যেতে পারেনি ধোনির দল। ৬ উইকেটে ১৭০ রানে থেমেছে চেন্নাই। তাতে আগের দুই ম্যাচ হেরে যাওয়া রাজস্থান ৩২ রানের জয়ে শীর্ষে উঠেছে। পয়েন্ট টেবিলে রাজস্থান, গুজরাট ও চেন্নাই-তিনটি দলেরই অর্জন ১০ পয়েন্ট। রাজস্থান শ্রেয়তর রান রেটে এগিয়ে। তাদের চেয়ে এক ম্যাচ কম খেলেছে গুজরাট।
টস জিতে প্রথমে ব্যাট করেছে রাজস্থান। অবশ্য এমন সিদ্ধান্তের কারণও ছিল। এই ম্যাচের আগে ৩টি ম্যাচেও তারা প্রথমে ব্যাট করে জয়ের দেখা পায়। তাছাড়া টুর্নামেন্টে তাদের ওপেনাররা দ্রুত গতিতে রানও তুলছে। যার ধারাবাহিকতা ধরে রাখেন যশস্বী জসওয়াল। ৪৩ বলে ৮ চার ও ৪ ছক্কায় ৭৭ রান করেছেন। তার বিস্ফোরক ইনিংসই বড় স্কোরের মঞ্চ গড়ে দিয়েছে। পরের ব্যাটাররা সেভাবে প্রভাব ফেলতে পারেননি। সঙ্গী ওপেনার বাটলার ২১ বলে ২৭ রান করেছেন। শেষ দিকে প্রভাব বিস্তারী ইনিংস খেলেছেন ধ্রুব জুরেল ও দেবদূত পাডিক্কাল। জুরেল ফেরার আগে ১৫ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৩৪ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেছেন। ১৩ বলে ২৭ রানে অপরাজিত ছিলেন পাডিক্কাল। তার ইনিংসে ছিল ৫টি চার।
চেন্নাইয়ের হয়ে ৪২ রানে দুটি উইকেট নেন তুশার দেশপান্ডে।
বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে চেন্নাইকে কখনো মনে হয়নি জয়ের লক্ষ্যে খেলছে তারা। শুরুটা ছিল ধীর গতির। যার চাপটা পড়েছে নতুন ব্যাটারদের ওপর। ওপেনার রিতুরাজ ২৯ বলে ৫ চার ও ১ ছক্কায় ৪৭ রান করলেও তা যথেষ্ট ছিল না। এমনকি শিবম দুবের ৩৩ বলে ৫২ রানের ঝড়ো ইনিংসের পরও। চেন্নাই শিবিরে তা শুধুই ক্ষীণ আশা সঞ্চার করেছে। দুবের ইনিংসে ছিল ২টি চার ও ৪ ছয়। মঈন আলীও ২৩ রানের বেশি করতে পারেননি। রবীন্দ্র জাদেজা শেষ পর্যন্ত ২৩ রানে অপরাজিত থেকেছেন। তার পরেও ৬ উইকেটে ১৭০ রানে থেমেছে চেন্নাই।
২২ রানে ৩ উইকেট নিয়ে সবচেয়ে সফল ছিলেন অ্যাডাম জাম্পা। ৩৫ রানে দুটি নেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন।
স্কোর: রাজস্থান ২০২/৫
চেন্নাই: ১৭০/৬
ফল: রাজস্থান ৩২ রানে জয়ী।