স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, জলবায়ুজনিত পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশ পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশসমূহের মধ্যে অন্যতম। উন্নত বিশ্বে কার্বন নির্গমনের হার মাথাপিছু টন যেখানে ছয় এর অধিক সেখানে বাংলাদেশ মাত্র ০.৪ ভাগ কার্বন নিঃসরণ করেও জলবায়ুর বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সম্মুখীন।
তিনি জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের আয়োজনে এবং ইউনিসেফ ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহযোগিতায় বিশ্ব পানি দিবস ২০২৩ উপলক্ষে “পানি ও পয়োনিষ্কাশন সংকট সমাধানে পরিবর্তন ত্বরান্বিতকরণ” শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বা এসডিজি অর্জনে বাংলাদেশ কাজ করছে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি বাসযোগ্য পৃথিবী তৈরীতে সরকার অঙ্গীকারাবদ্ধ। কিন্তু সেই অঙ্গীকার বাস্তবায়ন করতে যে পরিমান আর্থিক সামর্থ্যের প্রয়োজন তার ঘাটতি রয়েছে। উন্নত বিশ্ব তাদের প্রুতিশ্রুত অর্থ ছাড় না করলে বাংলাদেশসহ উন্নয়নশীল দেশগুলোকে এসডিজি বাস্তবায়নে সমস্যার মুখোমুখি হতে হবেও বলে জানান স্থানীয় সরকার মন্ত্রী।
এ সময় তিনি জানান, সরকার ঢাকা শহরে প্রয়োজনীয় পানি বিশুদ্ধকরণ প্লান্ট স্থাপন করেছে।কৃষি, গৃহস্থালি ও শিল্পে পানি প্রয়োজন উল্লেখ করে তিনি বলেন, নিরবচ্ছিন্ন ও সুপেয় পানি সরবরাহের উৎসগুলো নিরাপদ ও দূষণমুক্ত রাখতে হবে।
পানি ব্যবহারে সবাইকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়ে মোঃ তাজুল ইসলাম বলেন, সুপেয় পানির পরিমান নির্দিষ্ট তাই পানির যথেচ্ছা অপচয় করলে এই সম্পদ ফুরিয়ে যাবে।
মোঃ তাজুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ ভাটির দেশ হওয়ায় উজানে পানির গতিপথ কৃত্রিমভাবে পরিবর্তন করলে বাংলাদেশের পরিবেশ ও জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
সেমিনারে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী মতিন উদ্দীন আহমেদ এবং আলোচনায় অংশগ্রহণ বুয়েটের ডাইরেক্টর অধ্যাপক ড. তানভীর আহমেদ, এনজিওর ফোরাম ফর পাবলিক হেলথ এর এক্সিকিউটিভ ডাইরেক্টর এস.এম.এ রশিদ।
এতে সম্মানিত অতিথি হিসেবে ছিলেন সুইডিশ রাষ্ট্রদূত আলেকজান্দ্রা বার্গ ভন লিনডে, ইউনিসেফ বাংলাদেশ প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি ড. বারডান ইয়াং রানা। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের মহাপরিচালক মোহাম্মদ সারোয়ার বারী।
সোহাগ