আজ সোমবার,১১এপ্রিল,২০২২ খ্রি. তারিখে মুজিব শতবর্ষ এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’র ১০২তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে জানিপপ কর্তৃক আয়োজিত বর্ষকালব্যপী জুম ওয়েবিনারে এক বিশেষ্ আলোচনা সভার ২৫১তম পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।
জানিপপ-এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রফেসর ড.মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন কুষ্টিয়ার খোকসা থেকে দৈনিক কুষ্টিয়া পত্রিকার সিনিয়র সাংবাদিক হুমায়ুন কবির এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন শিক্ষা ক্যাডারের সহযোগী অধ্যাপক ও বঙ্গবন্ধু গবেষক আবু সালেক খান,কুমিল্লার চান্দিনা থেকে ব্যাংক কর্মকর্তা খোরশেদ আলম ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাসুম আব্দুল্লাহ ।
সভায় গেস্ট অব অনার হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন রংপুর মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোসাঃ আর্জিনা খানম এবং মুখ্য আলোচক হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গোপালগঞ্জ এর বঙ্গবন্ধু ইনস্টিটিউট অব লিবারেশন ওয়ার এন্ড বাংলাদেশ স্টাডিজ এর অধীনে পিএইচডি গবেষণারত প্রশান্ত কুমার সরকার।
সভাপতির বক্তৃতায় ড. কলিমউল্লাহ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সবসময় সুচিন্তিত মতামত ব্যাক্ত করতেন।
হুমায়ুন কবির বলেন, বঙ্গবন্ধুর শাসনামলে যারা নৈরাজ্য আর হত্যাযজ্ঞে মেতে উঠেছিলো, সেই একই গোষ্ঠী বঙ্গবন্ধুর শাসনামল আর বাকশালকে ব্যর্থ আখ্যা দিয়ে আজও চরম মিথ্যাচার চালিয়ে যাচ্ছে।
প্রশান্ত কুমার সরকার বলেন,শোষিতের গনতন্ত্র কায়েমের জন্য বঙ্গবন্ধু বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।প্রোপাগান্ডায় বিভ্রান্ত হয়ে আজও অধিকাংশ সাধারণ মানুষ তো বটেই; আওয়ামীলীগেরও অনেক নেতাকর্মী বাকশালকে আওয়ামী লীগের বিষফোড়া এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটি ঐতিহাসিক ভুল মনে করেন।
আর্জিনা খানম বলেন,সময় এসেছে এসব মিথ্যাচার ও অপপ্রচার চিরতরে বন্ধ করবার। তাই বাকশাল নিয়ে সুষ্ঠু আলোচনা ও গবেষণার মাধ্যমে সত্যের উদ্ঘাটন প্রয়োজন।
দিপু সিদ্দিকী বলেন, হঠাৎ করে নয়;বিপ্লবের ধারাবাহিকতায় এসেছিল বাকশাল। প্রথম বিপ্লব ছিলো মুক্তিযুদ্ধ। যার বিনিময়ে এসেছিল আমাদের স্বাধীনতা ও রাজনৈতিক মুক্তি। বঙ্গবন্ধু বাকশালকে বলেছিলেন দ্বিতীয় বিপ্লব। আর বাকশাল কর্মসূচী দিয়ে তিনি বাঙালীর অর্থনৈতিক মুক্তির সূচনা করতে চেয়েছিলেন।
সভাটি সঞ্চালনা করেন রয়েল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা’র সহযোগী অধ্যাপক,বিভাগীয় প্রধান ও ডেইলি প্রেসওয়াচ সম্পাদক দিপু সিদ্দিকী।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে সংযুক্ত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত প্রকৌশলী শাফিউল বাশার এবং রাজশাহী থেকে ডা.মনোয়ার।