জাবি প্রতিনিধি-আসিবুল ইসলাম রিফাত
‘অতীতের আলোতে এ বর্তমান,পঞ্চাশে ইতিহাস হোক অম্লান’ স্লোগানে আগামী ১৭ নভেম্বর থেকে ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত এক মাস ব্যাপী আয়োজিত হতে যাচ্ছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের সুবর্ণজয়ন্তী ও তৃতীয় পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান।
মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) বিকাল ৩টায় বিম্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের শিক্ষক লাউঞ্জে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব ও বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মোজাহিদুল ইসলাম।
এসময় অনুষ্ঠানটির আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম বলেন,১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া এই বিভাগটি জাবির প্রারম্ভিক বিভাগ গুলোর একটি । দীর্ঘ পথক্রমায় বিভাগটি শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ বিভাগে পরিণত হয়নি, এটি সারা দেশের মধ্যে শিক্ষা ও গবেষণায় নতুন উচ্চতায় আসীন হয়েছে। এম.ফিল কোর্স হিসেবে পরিচিত উচ্চ শিক্ষার এই কার্যক্রমটির সূতিকাগার জাবির ইতিহাস বিভাগ। এক এক করে ইতিহাস বিভাগ গৌরবোজ্জ্বল পঞ্চাশটি বছর পার করেছে। এই অগ্রযাত্রাকে স্মরণীয় করে রাখতে বিভাগ ও বিভাগীয় অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের সমন্বয়ে সুবর্ণ জয়ন্তী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে।
এসময় আয়োজকরা জানান, সুবর্ণজয়ন্তী ও তৃতীয় পুনর্মিলনী উপলক্ষ্যে মাস ব্যাপী নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। মাস ব্যাপী এ আয়োজনের বিভিন্ন পর্যায়ে উপস্থিত থাকবেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান, পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম,জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলম।
১৭ নভেম্বর বিভাগের প্রতিষ্ঠার দিন উপলক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে জাতীয় সঙ্গীত, পরিবেশনার মধ্য দিয়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে মাসব্যাপী অনুষ্ঠানের কার্যক্রম শুরু হবে। উদ্বোধনী দিন অন্যান্য কার্যক্রমের মধ্যে থাকছে ধর্মীয় পবিত্র বাণী পাঠের পর স্মারক উন্মোচণ, কেক কাটা, শিক্ষক সম্মাননা এবং বাউল শিল্পী শফি মণ্ডলের লোক সঙ্গীত পরিবেশনা।
এছাড়াও উদাযাপন এর দ্বিতীয় দিন ২৬ নভেম্বর থাকছে একাডেমিক কার্যক্রম ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের জন্য ক্যারিয়ার প্ল্যানিং। এদিন বিভাগের প্রফেসর ড. এ আর মল্লিক লেকচার হলে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ইতিহাস বিভাগের আশুতোষ চেয়ার ও বরেণ্য ইতিহাসবিদ ড. অমিত দে । পাশাপাশি প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইজন সিনিয়র শিক্ষক প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. এ কে এম শাহনেওয়াজ এবং ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক এ টি এম আতিকুর রহমান। এছাড়াও থাকছে সাবেক ও বর্তমানদের অংশগ্রহণে বিতর্ক প্রতিযোগিতা।
উদযাপনের ৩য় দিন ১০ ডিসেম্বর অ্যালামনাইদের অংশগ্রহণে বিভিন্ন খেলার আয়োজন সহ থাকছে মুক্তমঞ্চে গজল সন্ধ্যার আয়োজন। এতে গজল পরিবেশন করবেন আমীন বাদল।
আয়োজনের সমাপনী দিন ১৭ ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত হবে আয়োজনের মূল পর্ব। এদিন সকালে পুরাতন কলাভবন থেকে ক্যাফেটেরিয়া পর্যন্ত আনন্দ শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে। এতে অংশ নেবে বিভাগের বর্তমান ও সাবেক শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ। এছাড়াও মুক্তমঞ্চে থাকবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং কনসার্টের আয়োজন। এছাড়াও সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে একটি সুভিন্যিয়র প্রকাশের কথাও জানান আয়োজকরা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিভাগের শিক্ষকসহ সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীবৃন্দ।