ইউক্রেনকে ভারি অস্ত্র দিয়ে সাহায্য না করায় পশ্চিমা দেশগুলোর সমালোচনার মুখে পড়েছেন জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজ।
কিন্তু কেন ইউক্রেনকে জার্মানি ট্যাংক বা হোইটজারের মতো ভারি অস্ত্র দিচ্ছে না তার জবাব দিয়েছেন জার্মান চ্যান্সেলর।
তিনি বলেছেন, যদি জার্মানি ও ন্যাটো এ যুদ্ধে যোগ দেয় তাহলে পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহার শুরু হবে ও তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ বেঁধে যাবে।
কিন্তু তিনি কেন মনে করছেন ট্যাংক দিলে পারমাণবিক যুদ্ধ শুরু হবে?
এমন প্রশ্নের জবাবে জার্মান গণমাধ্যম দের স্পিগালের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে ওলাফ শলৎজ জানিয়েছেন, রাশিয়া কখন ধরে নেবে জার্মানি এ যুদ্ধে যোগ দিয়েছে এটির কোনো নিশ্চয়তা নেই। ফলে ভেবে চিন্তে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে জার্মানি।
এ ব্যাপারে শলৎজ বলেন, এখানে কোনো নিয়মের বই নেই, যে এই অবস্থানে যাওয়ার পর বলা হবে জার্মানি ইউক্রেন যুদ্ধে যোগ দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আর এ কারণে এটি বেশি গুরুত্বপূর্ণ, আমরা প্রত্যেকটি পদক্ষেপ খুব সাবধানে নিচ্ছি এবং খুব কাছ থেকে একে অপরের সঙ্গে সমন্বয় করছি।
তিনি বলেন, ন্যাটোর সঙ্গে রাশিয়ার যুদ্ধ বেঁধে যাওয়ার বিষয়টি আটকানোই আমার কাছে মুখ্য।
ওলাফ শলৎজ আরও বলেন, তাই আমি অন্যরা কি বলছে সেগুলোকে কান দেই না। একটি ভুলের পরিণতি হবে মারাত্বক।
জার্মান চ্যান্সেলর আরও বলেন, আমি মনে করি ইউক্রেন যুদ্ধে ন্যাটো ও জার্মানির জড়ানো ঠিক হবে না।
তাছাড়া পশ্চিমা দেশগুলো জার্মানির ওপর চাপ দিচ্ছে তারা যেন এই মুহূর্তেই রাশিয়ার গ্যাস আমদানি বন্ধ করে দেয়।
এ ব্যাপারে জার্মান চ্যান্সেলর বলেন, আমি মনে করি না যে রাশিয়ার গ্যাস রপ্তানি বন্ধ করে দিলেই এ যুদ্ধ থেমে যাবে। যদি পুতিন অর্থনৈতিক বিষয়টি চিন্তা করতেন তাহলে যুদ্ধ শুরুই হত না।
সূত্র: সিএনএন