‘জয় বাংলা’ বাঙালীর মুক্তির শ্লোগান হলেও, ৭৫ পরবর্তী সময়ে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীরা তা মুছে ফেলতে চেয়েছিলো। এমন মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাসীরা এই শ্লোগান ধরে রাখতে পেরেছে বলেই আজ এটি স্বীকৃতি পেয়েছে।
সোমবার (১৪ মার্চ) বনানীর শেরাটন হোটেলে আয়োজিত ‘জয় বাংলা’ উৎসব অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধাদের উজ্জীবিত করেছিলো জয় বাংলা স্লোগান। দিয়েছিলো বিজয়ের অনুপ্রেরণা। পরিণত হয়েছিলো বাঙালীর মুক্তির শ্লোগানে।
শেখ হাসিনা বলেন, দেশের সকল অর্জনের মূলে থাকা ‘জয় বাংলা’কে তাঁর সরকার জাতীয় শ্লোগান ঘোষণার মাধ্যমে সমগ্র বিশ্বকে এই বার্তাই দিয়েছে যে, বাঙালি মাথা নিচু করে নয় বরং মাথা উঁচু করেই চলবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই ‘জয় বাংলা’ শ্লোগানটা আজ সকলের হয়েছে এবং এই শ্লোগানের মধ্য দিয়ে আমরা এটাই বিশ্বের মানুষের কাছে পৌঁছাতে চাই- আমরা বিজয়ী জাতি, আমরা বিজয় অর্জন করেছি, মাথা নত করে আমরা চলি না, মাথা নত করে চলবো না, বিশ্ব দরবারে বাঙালি মাথা উঁচু করেই চলবে।’
২০২০ সালের ১০ মার্চ ‘জয় বাংলা’কে বাংলাদেশের জাতীয় শ্লোগান করতে, প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। মন্ত্রীসভায় অনুমোদনের পর জয় বাংলাকে জাতীয় শ্লোগান হিসেবে ঘোষণার আনুষ্ঠানিক উদ্যোগ নেয়া হয়। জয় বাংলা শ্লোগানের ইতিহাস তুলে ধরেন বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, জয় বাংলা শ্লোগান দিতে গিয়ে আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মীর জীবন দিতে হয়েছে।
যে শ্লোগান দিয়ে এদেশের মানুষ রক্তের অক্ষরে লিখে গেছে-আমি বিজয় আনতে চাই। বাংলাদেশের জয় হবে। আজকে সেই ‘জয় বাংলা’ আমাদের সকলের, এদেশের মানুষের, বিজয়ী জাতির বাঙালি জাতির, আমাদের মাথা উঁচু করে চলার শ্লোগান এটি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানান, কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা থেকেই বঙ্গবন্ধু এই ‘জয় বাংলা’ স্লোগানটি নিয়েছিলেন।
এই শ্লোগান ধারণে তিনি সকলকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, কোন ত্যাগ যে বৃথা যায় না আজকে সেটাই প্রমাণ হয়েছে।
দেশের অর্থনীতির ভিত আরও মজবুত হবে জানিয়ে তৃণমূল মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করাই সরকারের লক্ষ্য বলে জানান সরকার প্রধান।
বাংলাদেশকে আর কেউ পিছিয়ে নিতে পারবে না বলেও জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।