দলীয় পার্লামেন্ট সদস্যদের আস্থা ভোটে টিকে গেলেন বরিস জনসন। আপাতত যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী পদে বহাল থাকছেন তিনিই। দেশটির কনজারভেটিভ পার্টির আইনপ্রণেতারা অনাস্থা ভোটের আবেদন করলে নিজের প্রধানমন্ত্রীত্ব নিয়ে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েন বরিস জনসন।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানা যায়, সোমবার (৬ জুন) স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৮টার মধ্যে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট অনুষ্ঠিত হয়। অনাস্থা ভোটে হেরে গেলে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব ছাড়তে হত বরিস জনসনকে।
তবে সব সংশয় দূর করে নিজের পক্ষে ৫৮ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট পেয়ে উৎরে গেছেন বরিস। বরিস নিজের পক্ষ পেয়েছেন ২১১ ভোট আর বিপক্ষে পেয়েছেন ১৪৮ ভোট।
কনজারভেটিভ পার্টির প্রত্যেক এমপিই ভোট প্রদান করেছেন। ভোটের ফলাফল ঘোষণা করেন দলটির এমপিদের প্রতিনিধিত্বকারী সংসদীয় গ্রুপের বর্তমান কমিটির চেয়ারম্যান স্যার গ্রাহাম ব্র্যাডি।
করোনা মহামারির এবং বিশ্বব্যাপী লকডাউনের মধ্যেও ডাউনিং স্ট্রিটে এক পার্টিতে অংশ নিয়ে সমালোচনার জন্ম দেন বরিস জনসন। সেই ঘটনায় অবশ্য ইতোমধ্যে ক্ষমাও চেয়েছেন তিনি। পার্টিগেট কেলেংকারি নামক ঐ ঘটনায় বিরোধী দলের পাশাপাশি নিজ দলেও চরম সমালোচিত হন জনসন। এ নিয়ে গত বছর তার পদত্যাগের দাবি ওঠে। তবে বরিস সাফ জানিয়ে দেন, তিনি পদত্যাগ করবেন না।
এদিকে ইউক্রেনকে ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহের সিদ্ধান্ত নিয়েও চরম বিপাকে পড়েছেন বরিস জনসন। এসব কারণেই সংসদে অনাস্থার মুখে পড়তে হয় তাকে।
কনজারভেটিব পার্টির নেতৃত্ব নির্বাচনে কাজ করে থাকে ‘১৯২২ কমিটি’ দলটির। দলটির ১৫ শতাংশ আইনপ্রণেতা যদি চিঠি দিয়ে দলের নেতা ও প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করে তাহলেই সেটি অনাস্থা ভোটে গড়ায়। ওই কমিটিই বরিস জনসনের নেতৃত্বের ওপর অনাস্থা ভোটের আয়োজন করে।