তালুকদার ফয়সাল, স্টাফ রিপোর্টার
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) একাংশের সভাপতি পদে সাজ্জাদ আলম খান তপু ও সোহেল হায়দার চৌধুরী দুজনই সমান সংখ্যক ভোট পেয়েছেন। দুজনেই পয়েছেন ৮১২ ভোট করে। দুজনেই সমান সংখ্যক ভোট পাওয়ায় তারা দুজনেই সভাপতি পদে এক বছর করে দায়িত্ব পালন করবেন।
প্রথম বছর সোহেল হায়দার চৌধুরী এবং দ্বিতীয় বছর সাজ্জাদ আলম খান তপু দায়িত্ব পালন করবেন বলে লটারির মাধ্যমে দুই প্রার্থীর উপস্থিতিতে সর্বসম্মতিতে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
এদিকে টানা দ্বিতীয়বারের মতো সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন আকতার হোসেন। সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন নজরুল ইসলাম মিঠু।
সাধারণ সম্পাদক পদে আকতার হোসেন পেয়েছেন ৬৩৭টি ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এ জিহাদুর রহমান জিহাদ ৫৯২ ভোট পেয়েছেন। বাকি দুজনের মধ্যে উম্মুল ওয়ারা সুইটি ২৬৫ ভোট ও খায়রুল আলম পেয়েছেন ৩১৩ ভোট।
সোমবার (১১ মার্চ) ভোটগ্রহণ শেষে রাত সাড়ে ৯টায় ফলাফল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ফরিদ হোসেন।
সিনিয়র সহ সভাপতি পদে ৭৪১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন নজরুল ইসলাম মিঠু। এ পদে অন্য প্রার্থীদের মধ্যে আশরাফুল ইসলাম ১২১ ভোট, আসলাম সানী ৫৮৬ ভোট ও হামিদ মোহাম্মদ জসিম পেয়েছেন ২৮০ ভোট।
সহ সভাপতি পদে ৫২৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন ইব্রাহিম খলিল খোকন। এ পদে অন্য প্রার্থীদের মধ্যে বাঁধন কুমার সরকার ৪৮৪ ভোট, মো. রেজাউর রহিম ১৯৫ ভোট, রফিকুল ইসলাম সুজন ৩৫৮ ভোট ও সিদ্ধার্থ শঙ্কর ধর পেয়েছেন ১১৩ ভোট।
যুগ্ম সম্পাদক পদে মো. শাহজাহান মিঞা ৫১৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আসাদুজ্জামান পেয়েছেন ৫১২ ভোট। অন্য প্রার্থীদের মধ্যে এস এম সাইফ আলী ৪১৭ ভোট, জাকির হোসেন ইমন ১৫১ ভোট, ফজলুল হক বাবু ৬৯ ভোট ও ফরিদ উদ্দিন সিদ্দিকী ৬৫ ভোট পেয়েছেন।
সব পদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৯৪৭ ভোট পেয়ে সাংগঠনিক সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন গোলাম মুজতবা ধ্রুব। অন্য দুই প্রার্থীর মধ্যে জুবায়ের রহমান চৌধুরী ৩০৯ ভোট ও রাজু হামিদ ৪৮০ ভোট পেয়েছেন।
কোষাধ্যক্ষ পদে ৫৫০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন সোহেলী চৌধুরী। অন্য প্রার্থীদের মধ্যে মীর আফরোজ জামান ২৬২ ভোট, রেজাউল কারীম ৫২০ ভোট ও সাকিলা পারভীন ৪০২ ভোট পেয়েছেন।
আইন বিষয়ক সম্পাদক পদে ৮৭৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন আসাদুর রহমান। প্রতিদ্বন্দ্বী মাসুম আহাম্মদ পেয়েছেন ৫৪৫ ভোট ও রবিউল হক পেয়েছেন ১৮০ ভোট।
প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে ৭৪৮ ভোট পেয়ে মুহাম্মদ নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম হিসেবে আমানউল্লাহ আমান পেয়েছেন ৫০৬ ভোট ও এম শাহজাহান সাজু পেয়েছেন ৪৪৬ ভোট।
দপ্তর সম্পাদক পদে ৭১৭ ভোট পেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস চৌধুরী নির্বাচিত হয়েছেন। অন্য দুই প্রার্থী আইরিন নিয়াজি মান্না ৪৪৭ ভোট, এ কে এম ওবায়দুর রহমান ৫১৩ ভোট পেয়েছেন।
কল্যাণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন শাহজাহান স্বপন। একই পদে আনোয়ার হোসেন ৪৬৬ ভোট ও রেহানা পারভীন ৪১৬ ভোট পেয়েছেন।
৫৭৪ ভোট পেয়ে ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন দুলাল খান। এপদে অন্য প্রার্থীদের মধ্যে এস এম বাবুল হোসেন ১৮২ ভোট, ইস্রাফীল হাওলাদার ৪২০ ভোট ও মো. আসাদুজ্জামান (লিমন আহমেদ) পেয়েছেন ৪৪২ ভোট।
নারী বিষয়ক সম্পাদক পদে ৬০৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন সুমি খান। অন্য প্রার্থীদের মধ্যে দীপা ঘোষ রীতা ৫০৭ ভোট ও সুরাইয়া অনু ৫২৮ ভোট পেয়েছেন ।
নির্বাহী পরিষদ সদস্য হিসেবে আটটি পদে (প্রাপ্ত ভোটে পদ ক্রমিক অনুসারে) জি এম মাসুদ ঢালী ৭৪১ ভোট, নাসরিন বেগম গীতি (নাসরিন গীতি) ৬৯৪ ভোট, এ এম শাহজাহান মিয়া ৬৪৭ ভোট, আনোয়ার সাদাত সবুজ ৫৪৬ ভোট, সাজেদা হক ৫২৯ ভোট, আহমেদ মুশফিকা নাজনীন ৫০৯ ভোট, রারজানা সুলতানা ৫০৩ ভোট ও অনজন রহমান ৪৮৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
এর আগে সকাল ৯টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিরতিহীন ভোটগ্রহণ চলার কথা থাকলেও নির্বাচন কমিশন আধা ঘণ্টা সময় বাড়িয়ে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ করেন।