ঢাকা , রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
স্বাস্থ্যখাতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেবে বিএনপি: মোস্তাক আমিন রিদম রিয়াদে এনটিভির আয়োজনে ৫৫তম বিজয় দিবস উদযাপন ও প্রবাস বিনোদন পর্ব-২৭ অনুষ্ঠিত ফুলবাড়ীতে সাংবাদিক নির্যাতন প্রতিরোধ সেল বাংলাদেশের নতুন কমিটি গঠন দেবিদ্বারে ৬ বছরের শিশু ধ*ষ*র্ণ , চিকিৎসা পেল না প্রভাবশালীদের চাপে সারা দেশে বেশ কিছু আসনে বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তন চাঁদপুর হাইমচর মেঘনা নদীতে দুই লঞ্চের ভয়াবহ সংঘর্ষ: নিহত ৭, আহত অর্ধশতাধিক পার্বত্য অঞ্চল রাঙামাটিতে পর্যটকের জোয়ারে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরেছে ঢাকায় পা রাখলেন তারেক রহমান ৫৫ বছরের ইতিহাসে অবিস্মরণীয় ঘটনা ঘটতে যাচ্ছে: সালাহউদ্দিন আহমদ তারেক রহমানের জন্য ৫০ কেজি ধান কাঁধে নিয়ে শীতের রাতে খালি গায়ে রাস্তায় সারা রাত

ডিম-সবজির দাম কমলেও চড়া মাছ-মাংসের বাজার

সাংবাদিক

সপ্তাহ ব্যবধানে বাজারে কমেছে সবজির দাম। নিম্নমুখী ডিমের বাজারও। তবে আগের চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে মাছ, মুরগিসহ অন্যান্য মাংস।

রাজধানীর বাজারে উঠতে শুরু করেছে আগাম শীতকালীন শাকসবজি। আর এতেই কিছুটা কমতে শুরু করেছে দাম। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ‘‘শীতকাল আসছে, সরবরাহ বাড়লে কমে যাবে সবজির দাম।’’

শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) রাজধানীর বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।

রাজধানীর এক সবজি বিক্রেতা বলেন, বৃষ্টির কারণে ফসলের ক্ষেত নষ্ট ও বাজারে সরবরাহ কমায় বেড়ে গিয়েছিল সব ধরনের শাক-সবজির দাম। এখন বৃষ্টিপাত কমায় ও বাজারে আগাম শীতকালীন সবজি আসতে শুরু করায় কেজিতে ১০-১৫ টাকা পর্যন্ত কমেছে কোনো কোনো সবজির দাম। তবে হাতেগোনা দুই-একটি সবজির দাম বেড়েছে।

বাজারে প্রতি কেজি টমেটো ১০০ টাকা, শিম ১০০-১২০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৬০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, পটোল ৫০ টাকা ও মুলা ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৮০ টাকা, বেগুন ৮০-১০০ টাকা, কচুর মুখী ৪০-৫০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকা, আলু ২৫ টাকা ও শসা ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

কিছুটা কমেছে কাঁচা মরিচের দামও। বর্তমানে কেজি প্রতি ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহে ছিল ২০০ টাকায়। আর প্রতি পিস ছোট সাইজের ফুলকপি ও বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকায়।

বাজারে প্রতি ডজনে ১০ টাকা পর্যন্ত কমেছে ডিমের দাম। প্রতি ডজন লাল ডিম ১৩০ টাকা ও প্রতি ডজন সাদা ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়।

এদিকে, নিষেধাজ্ঞার কারণে বাজারে নেই ইলিশ মাছ। তবে চাষের রুই ও কাতলার দাম স্থিতিশীল থাকলেও বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে টেংরা, পাবদাসহ অন্যান্য মাছ। এক মাছ বিক্রেতা বলেন, ‘বাজারে সামুদ্রিক মাছ নেই। তাই দেশি ও চাষের মাছের ওপর চাপ বাড়ায় দাম বাড়ছে।’

বাজারে প্রতিকেজি বোয়াল ৮০০-১০০০ টাকা, কোরাল ৮৫০-৯০০ টাকা, আইড় ৭০০-৮০০ টাকা, চাষের রুই ৩০০-৪৫০ টাকা ও কাতল ৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া তেলাপিয়া ১৮০-২২০ টাকা, চাষের পাঙাশ ২০০ টাকা, চাষের ট্যাংরা ৫৫০-৬০০ টাকা, এবং পাবদা ৩৫০-৪০০ টাকা ও শিং ৪০০-৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

চড়া দামে স্থিতিশীল রয়েছে মুরগির বাজারও। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকায়, আর সোনালি মুরগির জন্য গুনতে হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকায়। এছাড়া লাল লেয়ার কেজি প্রতি ৩২০ টাকা ও দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৫৫০-৬০০ টাকায়।

গরু ও খাসির মাংসের দামও অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭৬০-৮০০ টাকা, খাসির মাংস ১ হাজার ২০০ টাকা ও ছাগলের মাংস ১ হাজার ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে আসা ক্রেতারা বলছেন, একসঙ্গে সব কিছুর দাম বেশি হওয়ায় মাসের খরচ মেলানো কঠিন হয়ে পড়েছে। আর বিক্রেতারা বলছেন, সরবরাহ স্বাভাবিক হলে দাম কিছুটা কমতে পারে আগামী সপ্তাহে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপডেটের সময় : ০৮:১২:৪৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫
৯৪৯ Time View

ডিম-সবজির দাম কমলেও চড়া মাছ-মাংসের বাজার

আপডেটের সময় : ০৮:১২:৪৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫

সপ্তাহ ব্যবধানে বাজারে কমেছে সবজির দাম। নিম্নমুখী ডিমের বাজারও। তবে আগের চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে মাছ, মুরগিসহ অন্যান্য মাংস।

রাজধানীর বাজারে উঠতে শুরু করেছে আগাম শীতকালীন শাকসবজি। আর এতেই কিছুটা কমতে শুরু করেছে দাম। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ‘‘শীতকাল আসছে, সরবরাহ বাড়লে কমে যাবে সবজির দাম।’’

শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) রাজধানীর বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।

রাজধানীর এক সবজি বিক্রেতা বলেন, বৃষ্টির কারণে ফসলের ক্ষেত নষ্ট ও বাজারে সরবরাহ কমায় বেড়ে গিয়েছিল সব ধরনের শাক-সবজির দাম। এখন বৃষ্টিপাত কমায় ও বাজারে আগাম শীতকালীন সবজি আসতে শুরু করায় কেজিতে ১০-১৫ টাকা পর্যন্ত কমেছে কোনো কোনো সবজির দাম। তবে হাতেগোনা দুই-একটি সবজির দাম বেড়েছে।

বাজারে প্রতি কেজি টমেটো ১০০ টাকা, শিম ১০০-১২০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৬০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, পটোল ৫০ টাকা ও মুলা ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৮০ টাকা, বেগুন ৮০-১০০ টাকা, কচুর মুখী ৪০-৫০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকা, আলু ২৫ টাকা ও শসা ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

কিছুটা কমেছে কাঁচা মরিচের দামও। বর্তমানে কেজি প্রতি ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহে ছিল ২০০ টাকায়। আর প্রতি পিস ছোট সাইজের ফুলকপি ও বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকায়।

বাজারে প্রতি ডজনে ১০ টাকা পর্যন্ত কমেছে ডিমের দাম। প্রতি ডজন লাল ডিম ১৩০ টাকা ও প্রতি ডজন সাদা ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়।

এদিকে, নিষেধাজ্ঞার কারণে বাজারে নেই ইলিশ মাছ। তবে চাষের রুই ও কাতলার দাম স্থিতিশীল থাকলেও বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে টেংরা, পাবদাসহ অন্যান্য মাছ। এক মাছ বিক্রেতা বলেন, ‘বাজারে সামুদ্রিক মাছ নেই। তাই দেশি ও চাষের মাছের ওপর চাপ বাড়ায় দাম বাড়ছে।’

বাজারে প্রতিকেজি বোয়াল ৮০০-১০০০ টাকা, কোরাল ৮৫০-৯০০ টাকা, আইড় ৭০০-৮০০ টাকা, চাষের রুই ৩০০-৪৫০ টাকা ও কাতল ৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া তেলাপিয়া ১৮০-২২০ টাকা, চাষের পাঙাশ ২০০ টাকা, চাষের ট্যাংরা ৫৫০-৬০০ টাকা, এবং পাবদা ৩৫০-৪০০ টাকা ও শিং ৪০০-৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

চড়া দামে স্থিতিশীল রয়েছে মুরগির বাজারও। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকায়, আর সোনালি মুরগির জন্য গুনতে হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকায়। এছাড়া লাল লেয়ার কেজি প্রতি ৩২০ টাকা ও দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৫৫০-৬০০ টাকায়।

গরু ও খাসির মাংসের দামও অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭৬০-৮০০ টাকা, খাসির মাংস ১ হাজার ২০০ টাকা ও ছাগলের মাংস ১ হাজার ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে আসা ক্রেতারা বলছেন, একসঙ্গে সব কিছুর দাম বেশি হওয়ায় মাসের খরচ মেলানো কঠিন হয়ে পড়েছে। আর বিক্রেতারা বলছেন, সরবরাহ স্বাভাবিক হলে দাম কিছুটা কমতে পারে আগামী সপ্তাহে।