সারা দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এসময় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১ হাজার ৫৯৪ জন।
শুক্রবার সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের ইনচার্জ মো. জাহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত ডেঙ্গু বিষয়ক নিয়মিত প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে জানানো হয়, ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত ১৪ জনের মধ্যে ঢাকাতেই ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৫২৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও এক হাজার ৫৯৪ জন। এতে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক লাখ ১০ হাজার ২২৪ জন।
এতে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) সকাল ৮টা থেকে শুক্রবার একই সময় পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এক হাজার ৫৯৪ জন। এর মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৭০৩ জন এবং ঢাকার বাইরের বাসিন্দা ৮৯১ জন। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ১৪ জনের মধ্যে ১১ জন ঢাকার এবং ৩ জন ঢাকার বাইরের বাসিন্দা।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২৪ আগস্ট পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন এক লাখ ১০ হাজার ২২৪ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৫২ হাজার ৬৫৬ জন। আর ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হয়েছেন ৫৭ হাজার ৫৬৮ জন। এখন পর্যন্ত হাসপাতাল থেকে মোট ছাড়পত্র পেয়েছেন এক লাখ ১ হাজার ৭৬২ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৪৮ হাজার ৫১০ জন এবং ঢাকার বাইরের ৫৩ হাজার ২৫২ জন।
দেশে প্রথম ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয় ২০০০ সালে। এরপর থেকে প্রতিবছর বর্ষাকালে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন শহরে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয়। ২০১৯ সালে দেশব্যাপী ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছিলেন এক লাখ এক হাজার ৩৫৪ জন। ওই সময়ে চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীসহ প্রায় ৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
২০২০ সালে করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গুর সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে সারাদেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। ওই বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এছাড়া ২০২২ সালে ডেঙ্গু নিয়ে মোট ৬২ হাজার ৩৮২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। এর মধ্যে গত বছর মশাবাহিত রোগটিতে আক্রান্ত হয়ে ২৮১ জন মারা গেছেন।