বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (বাপবিবো) আওতাধীন গ্যাসভিত্তিক তিনটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেয়াদ পাঁচ বছর বাড়ছে। বুধবার (৯ আগস্ট) দুপুরে ভার্চ্যুয়ালি অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ সংক্রান্ত প্রস্তাবের অনুমোদন দেয়া হয়।
বৈঠক শেষে অনুমোদিত প্রস্তাবের বিস্তারিত সাংবাদিকদের কাছে তুলে ধরেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (জেলা ও মাঠ প্রশাসন অনুবিভাগ) মো. আমিন উল আহসান।
তিনি বলেন, আজ অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ১৭তম এবং সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ২৫তম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদনের জন্য চারটি এবং ক্রয় কমিটির অনুমোদনের জন্য ১৭টি প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়।
অতিরিক্ত সচিব বলেন, বিদ্যুৎ বিভাগের অধীন বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের আশুলিয়া ৩৩ দশমিক ৭৫ মেগাওয়াট, মাধবদী ২৪ দশমিক ৩০ মেগাওয়াট ও চান্দিনা ১৩ দশমিক ৫০ মেগাওয়াট গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেয়াদ কার্যকরের তারিখ থেকে পাঁচ বছর বাড়ানো প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। বর্ধিত মেয়াদে স্পন্সর কোম্পানি সামিট পাওয়ার লিসিটেডকে ট্যারিফ কিলোওয়াট ঘণ্টা ৫ দশমিক ৬৫ টাকা হিসেবে ১ হাজার ১১৮ কোটি টাকা পরিশোধ করতে হবে।
তিনি বলেন, বিদ্যুৎ বিভাগের অধীন বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলায় ৫০ মেগাওয়াট (এসি) ক্ষমতার সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের ট্যারিফ কেনার অনুমোদন দেয়া হয়েছে। ট্যারিফ ভিত্তিতে বিদ্যুৎ কেনা হলে ২০ বছর মেয়াদে দরদাতা কনসোর্টিয়াম অব এএসকে নিউ এনার্জি কো. লিমিটেড, এ জে পাওয়ার কো. লিমিটেড ও এটিএন সল্যুশনস লিমিটেডকে প্রতি কিলোওয়াট ঘণ্টা ১০ দশমিক ৬৯৮ টাকা হিসাবে আনুমানিক এক হাজার ৭৩২ কোটি ৮০ লাখ টাকা পরিশোধ করতে হবে।
এ ছাড়া বিদ্যুৎ বিভাগের অধীন বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের ঘোড়াশাল ৩৬৫ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎকেন্দ্রের শিডিউল মেইনটেন্যান্স ওয়ার্ক সিমেন্স জার্মানির কাছ থেকে ২৯৬ কোটি ৯৭ লাখ ৫৪ হাজার ৭০৩ টাকায় কেনার অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
এর আগে অর্থনৈতিক বিষয়ক সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে বিদ্যুৎ বিভাগের অধীন বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বাবিউবো) ঘোড়াশাল তৃতীয় ইউনিট রি-পাওয়ার্ড কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎকেন্দ্রের গ্যাস টারবাইনের ক্ষতিগ্রস্ত কম্প্রেসর মেরামত সেবা জিটি অংশের মূল প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান জেনারেল ইলেকট্রিক (সুইজারল্যান্ড) জিএমবিএইচ থেকে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে (ডিপিএম) কেনার নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছে।