লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ উজান থেকে নেমে আসা ঢল ও কয়েকদিনের বৃষ্টিতে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সোমবার (১৯জুন) সকাল ৬টায় তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৫ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। পরে সকাল ৯টা থেকে পানি প্রবাহ কিছুটা কমে বিপৎসীমার ৫সে.মি. নিচে দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর ফলে ভাটি এলাকায় বাড়ছে পানির চাপ। প্লাবিত হয়েছে নিম্নাঞ্চল।
কয়েকদিনের বৃষ্টিতে ও উজানে ভারতীয় এলাকা থেকে আসা পানিতে তিস্তা ধু ধু বালুচর এলাকা পানিতে টইটম্বুর হয়ে পড়েছে। এতে তিস্তার চর ও নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকে ফসলের ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে বাদাম, পাট ও মৌসুমী ফসলের ক্ষতি হয়েছে। তবে নদী এলাকায় বন্যার আগাম প্রস্তুতি থাকায় ক্ষতির পরিমাণ তেমন হয়নি।
পাউবো ডালিয়া পয়েন্ট সূত্র জানায়, গত রোববার থেকে পানি বাড়তে শুরু করে। রোববার সন্ধ্যা ৬টায় তিস্তা ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৭৬ সে.মি নিচ দিয়ে পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয়। পরে রাতে পানি প্রবাহ বেড়ে ভোরের দিকে বিপদসীমা অতিক্রম করে। ফলে ডালিয়ার ভাটি এলাকায় পানি প্রবেশ করে। এতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় ভোগান্তিতে পরেছে তিস্তাপাড়ের মানুষ। চর এলাকায় চাষাবাদের জন্য বসবাসরত লোকজন গ্রাম এলাকায় চলে আসছেন। নৌকায় করে চরের ফসল নিয়ে আসছেন উচু এলাকায়।
লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার বলেন, গ্রীষ্ম মৌসুমে তিস্তার মহিষখোচা এলাকায় ৪৯ কোটি টাকা ব্যায়ে বেরিবাধ করা হয়েছে। এছাড়াও ভাঙ্গণ প্রবন এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে। জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমরা প্রস্তুত রয়েছি।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্ল্যাহ বলেন, তিস্তায় পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে নিচু এলাকায় পানি ঢুকেছে। আমরা স্ব স্ব ইউপি চেয়ারম্যানদেরকে সবশেষ খবর রাখতে বলেছি। জরুরি যেকোন পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে।