প্রচণ্ড গরম পড়েছে। এই সময়ে শরীর আর্দ্র রাখার বিকল্প নেই। প্রচুর পানি পান করলে শরীর থাকবে আর্দ্র। পাশাপাশি কিছু ফল ও খাবার খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন। সারা দিন শরীর থাকবে আর্দ্র।
ফলের পানি: পানিতে টাটকা ফলের টুকরো যেমন- কমলার ফালি, স্ট্রবেরির টুকরো অথবা লেবুর রিং মেশাতে পারেন। এতে পানির সঙ্গে পুষ্টি উপাদান- ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফ্লেভানয়েড, খনিজ উপাদান, পটাশিয়াম শরীরে প্রবেশ করবে। শরীরকে আরও বেশি আর্দ্র রাখতে সহায়তা করবে।
মসলা মিশ্রিত পানি: মসলা মিশিয়ে পানির একটা ফ্লেভার আনতে পারেন। এই পানীয় পানে স্বাস্থ্য উপকারিতাও পাবেন। এটি আপনার হজমের উন্নতিতে সহায়তা করবে এবং অ্যাসিডিটি প্রতিরোধ করবে। জিরা পানি পেট ফাঁপা কমাতে ধনিয়ার বীজ হাইপোথাইরয়েড লক্ষণ কমাতে সহায়তা করে। আজওয়াইন সামগ্রিক পরিপাকে সহায়তা করে।
স্যুপ: ঠান্ডা এবং উষ্ণ উভয় স্যুপই টাটকা সবজি দিয়ে তৈরি হওয়ায় স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এটি ফাইবার গ্রহণের মাত্রা বাড়িয়ে দেয় এবং শরীর আর্দ্র রাখতে সহায়তা করে। মূল খাবারের মধ্যবর্তী সময়ে স্যুপ খেলে অতিরিক্ত ক্যালরি গ্রহণ নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে। পাশাপাশি প্রয়োজনীয় খনিজ, ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের সরবরাহ করবে। টমেটো এবং শসার স্যুপ স্বাদেও ভালো এবং শরীরও রাখে শীতল।
সবজির জুস: এই পানীয় শরীর আর্দ্র রাখে এবং সবজির মতোই পুষ্টি সরবরাহ করবে। পালংয়ের জুস অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, বেটা ক্যারোটিন, ভিটামিন সি, এ এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের জোগান দেবে।
দুগ্ধজাত: পাস্তুরিত দুধ, চিজ, লাচ্ছি সবই স্বাস্থ্যকর। এটি ক্যালরিমুক্ত নয়, তবে অন্যান্য পুষ্টি উপাদানের জন্য দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় রাখা জরুরি।
চা-কফি: পরিমিত পানে এগুলো তরলের জোগান দেবে। দুটোতেই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। গ্রিন টির রয়েছে অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা।
ঐতিহ্যবাহী পানীয়: কানজি, বেল শরবত, আম পান্না, সাতু এগুলো শরীর আর্দ্র রাখতে সহায়তা করে। এগুলো অন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
মৌসুমী ফল-সবজি: এইগুলো তরলে পূর্ণ। সবজি এবং ফলের মধ্যে প্রচুর পানি থাকে। তরমুজের ৯০ ভাগই পানি। এই ধরনের ফল ও সবজি শরীর আর্দ্র রাখতে সহায়তা করে।