তুরস্কের ইস্তাম্বুুলস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল এবং ভিয়েতনামের হ্যানয়ে বাংলাদেশ দূতাবাসে যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৩তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে।
এ উপলক্ষে গৃহিত কর্মসূচির মধ্যে ছিল শেখ কামালের প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ , রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বানী পাঠ, দোয়া ও মোনাজাত এবং শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের জীবনী নিয়ে আলোচনা সভা স্মৃতিচারণএবং প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন ।
আজ ঢাকায় প্রাপ্ত পৃথক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানিয়ে বলা হয়, তুরস্কের ইস্তাম্বুলের কনস্যুলেটের ফ্রেন্ডশিপ হলে শেখ কামালের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুরু করা হয়। এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া বাণী পাঠ করে শোনানো হয় এবং শহিদ শেখ কামালের গৌরবময় জীবন ও কর্মের ওপর নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়।
কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ নূরে-আলম শোকাবাহ আগস্ট এ -সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তাঁর পরিবারের শহিদ সদস্যদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, শেখ কামাল অকুতোভয়, সাহসী ও বিপুল প্রাণশক্তির অধিকারী একজন তরুণের নাম। শৈশব হতে শেখ কামাল রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে জড়িত হন। তিনি শহীদ শেখ কামালের আদর্শ-দর্শন, সমাজচিন্তা ও মানবীয় গুণাবলিতে অনুপ্রাণিত হয়ে সকলকে জাতির পিতার ‘সোনার বাংলা’বাস্তবায়নে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যাওয়ার আহ্বান জানান।
ভিয়েতনামের হ্যানয়ের বাংলাদেশ দূতাবাসে শেখ কামালের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ, দোয়া ও মোনাজাত এবং শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের জীবনী নিয়ে আলোচনা সভা ও স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা সপরিবারে এবং ভিয়েতনামে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশীরা উপস্থিত ছিলেন।
ভিয়েতনামে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সামিনা নাজ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবিসংবাদিত নেতৃত্বে কথা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অবদানের কথা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন। এছাড়াও জাতীয় চার নেতা সহ মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, সমর্থক, মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী বীর শহীদ, যাদের সর্বোচ্চ ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয় স্বাধীনতা, যারা দেশ মাতৃকার জন্য জীবন দান এবং নির্যাতনের স্বীকার হয়েছেন, তাদের আত্মত্যাগের কথা তিনি স্মরণ করেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে স্বাধীনতাবিরোধী ঘাতকচক্রের হাতে তাঁর নিমর্ম হত্যাকান্ডের পর দেশের ক্রীড়াক্ষেত্রের অগ্রযাত্রা অনেকটাই স্তিমিত হয়ে পড়ে।
ক্রীড়ানুরাগী, সংস্কৃতিমনা, তারুণ্যদীপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামালের আদের্শে বর্তমান প্রজম্মের তরুনদের অনুপ্রাণিত হয়ে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার সংকল্পে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাওয়ার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।বাসস