আগামী সপ্তাহে তুরস্ক সফরে যাচ্ছেন সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান। এ খবর জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট তাইয়েপ এরদোয়ান নিজেই।
আল জাজিরার খবর।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়, সৌদি ক্রাউন প্রিন্সের তুরস্ক সফরের ঘোষণা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট নিজেই। এরদোয়ান বলেছেন, মোহাম্মদ বিন সালমান আগামী সপ্তাহে (বুধবার, ২২ জুন) আঙ্কারা সফর করবেন।
সৌদি যুবরাজের সফরটি এমন সময় হতে যাচ্ছে, যখন সৌদি আরব-তুরস্ক সম্পর্ক অনেকটা তিক্ততার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। যা গত কয়েক বছর ধরে দুই দেশকে একে অপরের প্রতিপক্ষ করে তুলেছে।
সালমানের আঙ্কারা সফর দুই দেশের মধ্যকার বৈরি সম্পর্কের অবসান ঘটাবে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ২০১৮ সালের ২ অক্টোবরে ইস্তাম্বুলে অবস্থিত সৌদি দূতাবাসে সাংবাদিক জামাল খাশোগির নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটে। ওই ঘটনার পর তুরস্কে সৌদির রাজবংশীয় কোনো সদস্যের প্রথম কোনো সফর হতে যাচ্ছে।
শুক্রবার (১৭ জুন) এ সফরের ঘোষণা দেওয়ার পাশাপাশি এরদোয়ান বলেন, আমরা সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানকে স্বাগত জানাব। তার এ সফরের কল্যাণে তুরস্ক-সৌদি আরবের মধ্যকার সম্পর্ককে আমরা কতটা উচ্চ পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারব তা মূল্যায়ন করার সুযোগ পাওয়া যাবে।
এর আগে এএফপিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তুর্কি রাষ্ট্রটির এক কর্মকর্তা জানান, সৌদির ডি ফ্যাক্টো শাসকের ভ্রমণের ব্যাপারে সপ্তাহান্তে আরও বিশদ আকারে জানানো হবে।
সালমানের তুরস্ক সফরে দুই দেশের মধ্যে বেশ কয়েকটি চুক্তি স্বাক্ষর হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। কারণ, তুর্কি রাষ্ট্রটি ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতির অবসান ঘটাতে আর্থিক সহায়তার জন্য অ-পশ্চিমা অংশীদারদের দিকে ঝুঁকছে।
এর আগে গত এপ্রিলে সৌদি আরব সফর করেন প্রেসিডেন্ট তাইয়েপ এরদোয়ান। খাশোগি হত্যাকাণ্ডের পর এটি ছিল তার প্রথম সৌদি সফর। এরদোয়ান পবিত্র নগরী মক্কা সফর করেন। নিজ দেশে ফেরার আগে মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গেও দেখা করেছিলেন তিনি।
সূত্র: আল জাজিরা