প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল জানিয়েছেন, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে প্রায় ৩৫ শতাংশ ভোট পড়েছে।
ভোট শেষে সিইসি বলেন, এ দফার ভোটে কমবেশি ৩৫ শতাংশ ভোট পড়েছে। ভোটের শতাংশের হার রাজনীতিবিদ ও গণমাধ্যমকর্মীরা করবেন।
বুধবার বিকেল ৫টার দিকে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে এক ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান তিনি।
ইসি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে যে সংখ্যক উপজেলায় নির্বাচন হওয়ার কথা তা হয়নি। ৮৭ উপজেলায় নির্বাচন হয়েছে। নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন হয়েছে। প্রশাসন তৎপর ছিলো বলে ভালো নির্বাচন ভালো হয়েছে। তারা প্রশংসার দাবিদার। দু-একটি ঘটনা ছাড়া নির্বাচন সফল হয়েছে। যে সব ঘটনা ঘটেছে তা নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে পারেনি।
তিনি জানান, ২১ জনকে আটক করা হয়েছে নির্বাচনে ভোট জালিয়াতি করার সময়। সহিংসতায় তেমন কেউ আহত হয়নি। এ ছাড়া ভোটগ্রহণ চলাকালে আমাদের একজন সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে কিছুক্ষণ পর তিনি মারা যান। এ সময় ওই পিসাইডিং অফিসারের মৃত্যুতে শোক প্রকাশের পাশাপাশি তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন সিইসি।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, রাঙামাটির নানিয়ার চরে ইউপিডিএফ সদস্যরা কিছু ব্যালট পেপার ছিনতাই করেছিল। তবে সে কারণে ভোট বন্ধ হয়নি। ছিনতাই হওয়া ব্যালট বাতিল করে নতুন ব্যালটের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ নিরবচ্ছিন্ন ছিল। এ ছাড়া নানিয়ার চরের জাহানতলী ভোটকেন্দ্রেও ৫০-৬০ জন ইউপিডিএফ সদস্য বিশৃঙ্খলা কারর চেষ্টা করেছিল, তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের প্রতিহত করেছে।
তবে একটি কেন্দ্রে ভোট স্থগিত করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, পটিয়ার একটি কেন্দ্রে ভোট স্থগিত করা হয়েছে। এ ছাড়া একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রিসাইডিং অফিসার এবং এজেন্টকে গ্রেপ্তার করতে হয়েছে। এরমধ্যে অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রিসাইডিং অফিসার শিক্ষক হয়েও অবৈধভাবে ব্যালটে পেপারে সিল দিচ্ছিলেন। সেটি নজরে আসা মাত্রাই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
বুধবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত দেশের ৮৭টি উপজেলায় বিরতিহীনভাবে চলে ভোটগ্রহণ। সারা দেশে শান্তপূর্ণভাবে সুষ্ঠুভাবে এ ভোট অনুষ্ঠিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি কম দেখা গেছে।
তৃতীয় ধাপে ১০৯টি উপজেলায় ভোটগ্রহণের কথা থাকলেও রেমালের কারণে ২২টির ভোট স্থগিত করা হয়েছে। এ ধাপে মোট ৮৭টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ করা হয়।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) তথ্যমতে, এই ধাপে মোট এক হাজার ১৫২ জন প্রার্থী রয়েছেন। তাদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৩৯৭ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৫৬ জন এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৯৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এ ধাপে চেয়ারম্যান পদে ১ জন, ভাইস চেয়ারম্যান ৪ জন ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭ জন; অর্থাৎ মোট ১২ জন প্রার্থী ইতোমধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।