রাতের মধ্যে পুলিশ দেয়াল তুলে ফেললেও রাজধানীর কলাবাগানের তেঁতুলতলা মাঠে আর কোনো ভবন হবে না।
বৃহস্পতিবার দুপুরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানান, তেঁতুলতলা মাঠ যেভাবে ছিল সেভাবেই থাকবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ নির্দেশানা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
এদিকে, তেঁতুলতলা মাঠ রক্ষার দাবিতে এলাকাবাসী, পরিবেশবিদ ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের আন্দোলনের মধ্যেই পুলিশ দেয়াল তৈরির কাজ শেষ করেছে।
এলাকাবাসী জানান, বুধবার প্রতিবাদ-সমাবেশ চলাকালে দেয়াল তৈরির কাজ বন্ধ ছিল। সবাই চলে যাওয়ার পর আবার কাজ শুরু হয়। বুধবার দিবাগত রাতের মধ্যেই দেয়াল তৈরির কাজ শেষ করে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১২টার দিকে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, তেঁতুলতলা মাঠের উত্তর পাশের পুরো এলাকাজুড়ে দেয়াল তৈরি করা হয়েছে। শুধু এক পাশে সামান্য জায়গা খালি রাখা হয়েছে। সেখান দিয়ে মাঠে ঢোকা যায়। দেয়াল ঘেরা মাঠের মধ্যে কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে বসে থাকতে দেখা যায়। মাঠের ভেতর ও দেয়াল ঘেঁষে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে নির্মাণসামগ্রী।
তবে, আন্দোলনকারীরা মাঠটির সীমানা ঘেঁষে ১৪টি দেশি প্রজাতির যে গাছ রোপণ করেছিলেন, সেগুলো সেভাবেই রয়েছে।
তেঁতুলতলা মাঠটি স্কয়ার হাসপাতালের উল্টো দিকের একটি গলিতে। এটি মূলত একটি খালি জায়গা। স্থানটি পুলিশ জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে বরাদ্দ নিয়ে কলাবাগান থানার ভবন নির্মাণ করছে।
মাঠটি রক্ষার দাবিতে কয়েকদিন ধরে আন্দোলন চলছিল। গত রোববার মাঠটি রক্ষার দাবিতে আন্দোলনকারী সৈয়দা রত্না ও তার কিশোর ছেলেকে কলাবাগান থানার পুলিশ ধরে নিয়ে ১৩ ঘণ্টা থানায় আটকে রাখে। পরে প্রতিবাদের মুখে মধ্যরাতে মুচলেকা নিয়ে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।