দেশে পর্যাপ্ত পরিমাণে জ্বালানি তেল মজুদ থাকার কথা জানিয়ে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ বলেছে, তেলের কোনো সংকট নেই, সংকটের কোনো আশঙ্কাও নেই।
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) আওতাধীন কোম্পানিগুলোর ডিপোতে মজুদ থাকার তেলের হিসাব তুলে ধরে সরকারের জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ বুধবার প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বলেছে, জ্বালানি তেলের মজুদ নিয়ে একটি মহল অসত্য ও মনগড়া তথ্য প্রচার করছে, যা সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করছে।
এতে জানানো হয়, বুধবার পর্যন্ত ডিজেল মজুদ আছে ৪ লাখ ৩১ হাজার ৮৩৫ মেট্রিক টন। দৈনিক গড়ে ডিজেল বিক্রি হয় ১৩ হাজার ৬০৭ মেট্রিক টন। এতে ৩২ দিন চাহিদা পূরণ করা সম্ভব। একই ভাবে জেট-এ-১ মজুদ আছে ৪৪ দিনের এবং ফার্নেস তেল মজুদ আছে ৩২ দিনের। আগামী ছয় মাসের জন্য যে তেল প্রয়োজন হবে তাও আমদানির প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে।
দেশে পেট্রলের চাহিদা ও উৎপাদন সম্পর্কে বলা হয়, পেট্রল পুরোটাই বাংলাদেশ উৎপাদন করে। অকটেনের প্রায় ৪০ ভাগ দেশে উৎপাদন হয়।
‘জুলাই মাসে ইতোমধ্যে ৯টি জাহাজে করে ২৫৫,০০০ মেট্রিক টন ডিজেল, ২টি জাহাজে প্রায় ৪৩,০০০ মেট্রিক টন জেট-এ-১, ১টি জাহাজ হতে ২৪,৬৭৭ মেট্রিক টন অকটেন এবং ২টি জাহাজ হতে ৫৩,৩৫৮ মেট্রিক টন ফার্নেস তেল গ্রহণ করা হয়েছে। আগস্ট মাসে ৮টি জাহাজে ২১৮,০০০ মেট্রিক টন ডিজেল, ১টি জাহাজে ২৫,০০০ মেট্রিক টন জেট-এ-১, ১টি জাহাজে হতে ২৫,০০০ মেট্রিক টন অকটেন আসবে।’
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের ভাষ্য, আগামী ৬ মাসের আমদানি পরিকল্পনা অনুসারে জ্বালানি তেল বাংলাদেশে আসবে। এর ৫০ ভাগ জি-টু-জি চুক্তির মাধ্যমে এবং বাকি ৫০ ভাগ উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ক্রয়াদেশ দেওয়া হয়েছে। ঘাটতি হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই।