ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা শুরুর পর বিশ্বজুড়ে দেখা দিয়েছে জ্বালানি তেলের সংকট। এমন পরিস্থিতিতে তেলের জন্য ভেনেজুয়েলার সঙ্গে আলোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা। একই বিষয়ে সৌদি আরবের দ্বারস্থ হতে যাচ্ছে দেশটি। একাধিক গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে বিবিসির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম অ্যাক্সিওসের খবরে বলা হয়, সৌদি আরবকে তেলের উত্পাদন বাড়ানোর অনুরোধ করবে যুক্তরাষ্ট্র। এ লক্ষ্যে দেশটিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সফরের বিষয়ে বিবেচনা করা হচ্ছে। চলতি বসন্তেই এ সফরের আয়োজন করা হতে পারে।
তবে বাইডেনের সফরের বিষয়টি নিয়ে হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা বিবিসিকে বলেন, এখন পর্যন্ত এমন কোনো সফরের ঘোষণা দেওয়া হচ্ছে না। যা শোনা যাচ্ছে, তার বেশির ভাগই আগাম জল্পনা।
এর আগে তেল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে ভেনেজুয়েলার কর্মকর্তাদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র বৈঠক করেছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে নিউ ইয়র্ক টাইমস। ২০১৯ সালে ভেনেজুয়েলার প্রধান রপ্তানিপণ্য অপরিশোধিত জ্বালানি তেল যুক্তরাষ্ট্রে বিক্রি বন্ধ করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের আমদানি করা অপরিশোধিত জ্বালানি তেল ও পেট্রোলিয়ামজাতীয় পণ্যের ১০ শতাংশই আসে রাশিয়া থেকে। স্থানীয় সময় গতকাল রবিবার মার্কিন কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি এক বিবৃতিতে জানান, রাশিয়াকে একঘরে করতে শক্ত আইন নিয়ে কাজ করছেন মার্কিন আইনপ্রণেতারা। এর জেরে যুক্তরাষ্ট্রে রাশিয়ার তেল ও জ্বালানি আমদানিতে পুরোপুরি নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে।