ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচন নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নির্দেশনা ছিল, উপজেলায় মন্ত্রী এমপিদের স্বজনরা কেউ প্রার্থী হতে পারবে না। দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে অনেক মন্ত্রী এমপির স্বজন তাদের প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছেন। আবার অনেকে দলীয় সিদ্ধান্ত না মেনে প্রার্থী হিসেবে এখনও আছেন ভোটের মাঠে। তবে এ বিষয়ে মোটেও চিন্তিত নয় নির্বাচন কমিশন।
প্রধান নির্বাচন কমিশন (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, প্রার্থীদের দলীয় সিদ্ধান্ত না মানার বিষয়ে ইসি বেকায়দায় নেই। এটা পুরাটাই রাজনৈতিক নৈতিকতার বিষয়। এছাড়া আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের বিষয়টি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে না বলেও জানান সিইসি।
মঙ্গলবার (৭ মে) নির্বাচন কমিশনার এক সংবাদ সম্মেলনে এই বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘নির্বাচনে কোন দল থেকে কে দাঁড়াল সেটি ইসির দেখার বিষয় নয়। আমাদের কাজ নির্বাচন পরিচালনা করা। আমরা দেখছি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে কেমন। দলীয় প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে কিনা সেটা আমরা দেখব না।’
তিনি বলেন, আইনে আছে নির্বাচনে যদি একজন প্রার্থী থাকেন তাহলে তিনি নির্বাচনে জয়ী ঘোষিত হবেন। কেউ যদি এভাবে বিজয়ী হয়ে থাকেন সেটা আইন অনুযায়ী।
এদিকে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রথম ধাপে ৪১৮ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। ৬ থেকে ১০ মে পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় বিজিবি মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করবে। এ ছাড়া ভোট উপলক্ষে গতকাল বুধবার ১৪১টি উপজেলায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার।
উল্লেখ্য, মোট চার ধাপের এই নির্বাচনের পরবর্তীতে তিন ধাপের ভোট ২৩, ২৯ মে ও ৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে।