মোঃজিলহাজ বাবু ,চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি:
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক সংসদ সদস্য মো. আবদুল ওদুদ বলেছেন, হারানো আসন পুনরুদ্ধারে প্রাণপণ কাজ করে চলেছেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা।
কতিপয় হাইব্রিড নেতা আওয়ামী লীগের পদ-পদবি পেয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিভিন্ন সুবিধা আদায় করছেন। নিজ স্বার্থ হাসিল করতে বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের ক্যাডারদের সঙ্গে নিয়ে তারা ব্যবসা-বাণিজ্য করছেন। এসব নেতা দলের উন্নয়ন কাজের প্রচারণা না চালিয়ে নিজেদের নিয়ে ব্যস্ত।
এতে করে আওয়ামী লীগ নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হচ্ছে। বাংলা ৫২ নিউজের সঙ্গে আলাপচারিতায় নিজ দলের কর্মকান্ড নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
মো. আবদুল ওদুদ বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে উন্নয়নে জেলার অবয়ব আমূল পাল্টে গেছে। তাই সরকারের কাজের উন্নয়ন প্রচারণা মানুষের দ্বারে দ্বারে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, জেলায় তৃণমূল আওয়ামী লীগ শতভাগ সংগঠিত। কোনো কোনো নেতা নিজেদের কর্তৃত্ব বজায় রাখতে লবিং-গ্রুপিংয়ে জড়িয়ে পড়লেও তারা সুবিধা করতে পারছেন না। তবে ঘরের শত্রুকে না রাখাই ভালো বলে মন্তব্য করেন তিনি। জেলা আওয়ামী লীগের এই সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তৎকালীন এসপি ও ডিসি আওয়ামী লীগের নৌকার বিজয় ছিনিয়ে নিয়ে বিএনপির প্রার্থীকে কারচুপি করে জিতিয়ে দিয়েছেন।
বিএনপির এমপি মো. হারুনুর রশীদের রয়েছে সীমাহীন ব্যর্থতা। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা প্রাণপণ কাজ করে চলেছেন আগামীতে এ সংসদীয় আসন পুনরুদ্ধার করতে। সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘আমি যখন সংসদ সদস্য ছিলাম তখন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। চরাঞ্চলের মানুষের জন্য শেখ হাসিনা সেতু নির্মাণসহ আন্তনগর ট্রেন চালু করা হয়েছে। প্রায় প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভবন তৈরি এবং রাস্তাঘাটের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে।
কিন্তু বর্তমান বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ জেলার তেমন কোনো উন্নয়ন ঘটাননি। করোনাকালে তিনি একবারও এলাকায় আসেননি। ওই সময় আওয়ামী লীগের প্রতিটি নেতা-কর্মী কাঁধে কাঁধ রেখে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন, মানুষকে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করেছেন। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করতে তিনি কাজ করে যাচ্ছেন। এখন আওয়ামী লীগ অন্য যে কোনো সময়ের চেয়ে অনেক সংগঠিত বলে দাবি করেন তিনি। নির্বাচনের প্রস্তুতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনে সংসদ সদস্য পদে নির্বাচন করতে তিনি আগ্রহী।
তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নৌকার প্রার্থী হিসেবে যাকে মনোনয়ন দেবেন তিনিসহ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে তার পক্ষে কাজ করবেন। নৌকার প্রার্থীকে বিজয়ী করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার দেওয়া হবে।