রেলওয়ের অস্থায়ী শ্রমিকদের স্থায়ীকরণসহ ৬ দফা দাবি না মানলে আগামী ২১ নভেম্বর থেকে রেল অবরোধের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে অস্থায়ী (টিএলআর) শ্রমিক পরিষদ।
বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনী মিলনায়তনে বাংলাদেশ রেলওয়ে অস্থায়ী (টিএলআর) শ্রমিক পরিষদ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন রেলওয়ে শ্রমিকরা। এ সময় ১৩ দিন ধরে চলমান আন্দোলন ২০ নভেম্বর পর্যন্ত স্থগিত ঘোষণা করে শ্রমিক পরিষদ।
বাংলাদেশ রেলওয়ে অস্থায়ী (টিএলআর) শ্রমিক পরিষদের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন বলেন, গত ১৩ দিন ধরে কর্মবিরতি পালন করলেও সাড়া পাওয়া যায়নি। আমরা সবাই রেল পরিবারের সন্তান কিন্তু আমাদের কথা শোনা হয়নি। আউটসোর্সিংয়ের মতো কালো আইন এনে আমাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ৭ হাজার শ্রমিকের জন্য খরচ হয় ৬০ কোটি টাকা। বাংলাদেশ রেল থেকে মাসিক বেতন মাঝে মধ্যে এক-দুই মাস পেতে দেরি হলে আমরা রাস্তায় নামি না। আমরা ৫ মাস বেতন পাই না। এমনকি দুই ঈদের বোনাসও পাইনি। তারপরও কোনো ধর্মঘট করিনি।
তিনি আরও বলেন, আমাদের শেষ আশ্রয়স্থল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আমরা পাঁচ মাস বেতন পাই না। তিন মাস আমার মায়ের ওষুধ কিনে দিতে পারছি না। আমাদের দেখতে কোনো রেল কর্মকর্তা আসেননি। আমাদের একটাই দাবি প্রধানমন্ত্রী যেন একটিবার আমাদের দেখা করার সুযোগ দেন।
সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ রেলওয়ে অস্থায়ী (টিএলআর) শ্রমিক পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ শাওন, রাশেদুল ইসলাম রাশেদ, সদস্য সচিব মোহাম্মদ হোসেন প্রমুখ।
আন্দোলনকারীদের ছয় দফা দাবি
১. বাংলাদেশ রেলওয়েতে কর্মরত অস্থায়ী শ্রমিকদের স্থায়ী করতে হবে।
২. নিয়োগবিধি ২০২০ সংশোধন করে আগের মতো ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারীদের ৮ম শ্রেণি পাস বহাল রাখতে হবে।
৩. আউটসোর্সিং খাত বাতিল করে অস্থায়ী খাত চালু রাখতে হবে।
৪. কর্মচারীদের সব বকেয়া বেতন অতি দ্রুত পরিশোধ করতে হবে।
৫. অস্থায়ী কর্মচারীদের ক্ষমতার বলে অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুত করা যাবে না।
৬. রেলওয়েতে প্রচলিত আইনানুযায়ী দৈনিক ৮ ঘণ্টা ডিউটি নির্ধারণ করতে হবে এবং নিরাপদ কর্মস্থল নিশ্চিত করতে হবে।