প্রিয়ন্ত মজুমদার, কুমিল্লা উত্তর প্রতিনিধিঃ
গত বছর আঁখ চাষ করে লাভের দেখা পেয়েছিলাম, তাই এবছর আরো বেশি আঁখ করেছি। দুঃখের কথা কি বলবো, আমরা এত কষ্ট করে আঁখ করেছি নিজেদের জমিতে কিন্তু দালালরা চুক্তিতে সব কম দামে কিনে অতিরিক্ত দামে বিক্রি করে তাই ওদের হাতে আমরা জিম্মি। আমারা জমিতে আঁখ করতে অনেক শ্রম ও অর্থ ব্যয় করেছি। দালালদের খপ্পরে পরে লাভ দূরে থাক ব্যয়িত অর্থই না পাওয়ার শঙ্কায় আছি। অসহায়ত্বের কণ্ঠে জনবাণীর নিকট এমটাই বর্ণনা দিয়েছেন আঁখ চাষী নূরে আলম সিদ্দিক(৪৩)।
কুমিল্লার মুরাদনগরের গোমতী তীরবর্তী গ্রামগুলোতে প্রতিবছরের ন্যায় এবছরও অসংখ্য কৃষকরা লাভের আশায় করেছেন আঁখ চাষ। শেষ পর্যায়ে এসেও অধিকাংশ কৃষকরা জিম্মি হয়ে সমস্ত আঁখ চুক্তিভিত্তিক বিক্রি করে দিচ্ছে সল্পমূল্যে। ক্রয়কৃত আঁখগুলো পুনরায় হাত বদল হয়ে বিক্রি হওয়ায় সাধারণের নিকট পৌঁছাতে-পৌঁছাতে মূল্য বৃদ্ধি পেয়ে যায় কয়েকগুণ। যারা রোদে পুড়ে আঁখ উৎপাদন করেছেন তারা মূলধন নিয়ে চিন্তিত কিন্তু মাঝে দিয়ে ফায়দা লুঠছে স্থানীয় প্রভাবশালী কিছু দালাল। ফলস্বরূপ ক্রেতা ও উৎপাদনকারী কৃষকদের মাঝে দেখা যাচ্ছে চরম ক্ষোভ।
স্থানীয়রা বলেছেন, আঁখের রস খেয়ে রোদ্দুরে তৃষ্ণা মিটিয়ে থাকে সবাই। আঁখের রস থেকে গুড়,চিনি সহ বিভিন্ন কিছু তৈরী হয়। তাই খুব সাধারণ ভাবেই ছোট থেকে বড় সকলের কাছেই প্রিয় বস্তু এটি। জিম্মিদারদের থেকে রেহায় পেলে এবছরের আঁখগুলো থেকেও কৃষকরা লাভের অঙ্ক কষতে পারবে। এজন্য সমাজের গন্যমান্য সকলের সুদৃষ্টি কামনা করছেন তারা। যাতে করে কৃষকরা সরাসরি আঁখগুলো বিক্রি করতে পারে সাথে ক্রেতারাও সল্পমূল্যে ক্রয় করতে পারে।