তরুণ সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষক ইমাম মেহেদী। তিনি ২৫ ফেব্রুয়ারি কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর শেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজ বিভাগ থেকে পোস্ট গ্রাজুয়েট ডিগ্রি লাভ করেন। তারপর ১৯৭১: গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘরের মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা কেন্দ্র থেকে পোস্ট গ্রাজুয়েট ডিপ্লোমা অর্জন করেন। বর্তমানে এমফিল গবেষণারত আছন। ছোট বেলা থেকেই সাহিত্য সংষ্কৃতির প্রতি ছিলো তার গভীর আগ্রহ। ২০০৪ সালে প্রথম পত্রিকায় ফিচার প্রকাশের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক লেখালেখির হাতেখড়ি। ২০০৮ সাল থেকে সাংবাদিকতাকে পড়াশোনার পাশাপাশি নেশা ও পেশা হিসেবে গ্রহণ করেন।
তখন থেকেই স্থানীয়, জাতীয় পত্রিকা, লিটল ম্যাগ ও সাহিত্য পত্রিকাতে নিয়মিত লিখতে থাকেন। ২০১০ সাল থেকে মুক্তিযুদ্ধের উপর মাঠ পর্যায়ে কাজ শুরু করেন। বাংলা বিভাগে পড়ার সুবাদে বিভাগের শিক্ষক বিশিষ্ট নজরুল গবেষক প্রফেসর ড. মুহা. জমির উদ্দীনের সান্নিধ্য লাভ করেন। সারাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার আন্দোলনের সময় তিনি কুষ্টিয়াতে সংগঠক হিসেবে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন। বর্তমানে তিনি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গবেষণা ও সাংবাদিকতার সঙ্গে যুক্ত আছেন, পাশাপাশি কুষ্টিয়ার রবীন্দ্র মৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত রয়েছেন।
ইতোমধ্যে এই তরুণের বেশ কয়েকটি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। তন্মধ্যে রয়েছে কাব্যগ্রন্থ, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক এবং সম্পাদিত। বর্তমানে গবেষণা করছেন- স্থপতি কবি রবিউল হুসাইন এবং কুষ্টিয়ায় মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু নিয়ে। আবুল মনসুর আহমদ প্রবন্ধ পুরস্কার-২০১৯, অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় বেস্ট ট্যোবাকো কন্ট্রল জার্নালিজম অ্যাওয়ার্ড-২০১৩ এর মতো পুরস্কার রয়েছে তার অর্জনের ঝুলিতে। ইমাম মেহেদীর অসংখ্য প্রবন্ধ, নিবন্ধ ও গবেষণা ধর্মী লেখা প্রকাশিত হয়েছে। ইমাম মেহেদী বাংলাদেশ টেলিভিশনেও গবেষক হিসেবে যুক্ত হয়েছেন একাধিক অনুষ্ঠানে। একটি সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ বিনির্মাণে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন এই তরুণ গবেষক। তার জন্মদিনে নিরন্তর শুভেচ্ছা ও শুভ কামনা। তরুণ, আপনার আগামীর পথচলা আরও মসৃণ হোক, এই প্রত্যাশায়- “শুভ জন্মদিন”।