ঢাকা , শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫, ১৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :

দুরন্ত বাজার সুপার শপে হামলা ও লুটপাট: ব্যবসায়ী সাহেব চৌধুরীকে আটকে রেখে নির্যাতনের ঘটনায় আদালতে মামলা

সাংবাদিক

চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান।। চট্টগ্রাম নগরের হালিশহর থানার পোর্ট কানেকটিং রোডে অবস্থিত দূরন্ত সুপারসপ নামে একটি প্রতিষ্ঠানে হামলা, লুটপাট এবং প্রতিষ্ঠানটির মালিককে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনায় সোমবার (১৬ জুন) ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী নুর মোহাম্মদ শাহেদ (২২) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা করেছেন। এতে ২৩ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং ১০০ থেকে ১২০ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চট্টগ্রাম মেট্রো ইউনিটকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর ও বাদীর আইনজীবী আবুল মনছুর সিকদার। তিনি বলেন, আদালত মামলাটি গ্রহণ করে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।

বিবাদীরা হলেন- মোহাম্মদ রাসেল সরকার (৩৩), কাজী মঞ্জুরুল করিম (৩৫), নার্গিস আক্তার নীলা (৪০), মোহাম্মদ সাব্বির হোসেন (৩৭), পিতা-জসীম উদ্দিন, মোহাম্মদ রিয়াদ (৩৫), শাকিল (৩২), লুৎফুর আমিন (৩৫), বজলুর রহমান (৪৫), জাহেদুল ইসলাম শাহিন (২০), শাহাদাত হোসেন (২০), ইয়াছিন আহম্মদ ফাহিম (২৫), রাশেদা বেগম (৫০), জাহেদা আক্তার সাথী (২৮), ফাতেমা আক্তার (১৯), উর্মি আক্তার (২২), সাজ্জাদ হোসেন (৩২), শিবলু (৩০), রিপন (২২), সাজ্জাদ (২২), মাহমুদ (২২), তাহসিন (২৬), মো. হান্নান (৪৫) ও রুবেল নাথ (৩২)।

মামলার অভিযোগ অনুযায়ী, ৪ জুন বিকাল ২টা থেকে শুরু হয়ে ৫ জুন রাত ১০টা পর্যন্ত একটানা শাহেদকে তার অফিসে আটকে রেখে মারধর করা হয় এবং দাবি করা হয় ৫০ লাখ টাকা চাঁদা। এতে তার অফিস, পণ্য ও ব্যক্তিগত মালামাল লুটপাট করা হয়, যার ক্ষতির পরিমাণ আনুমানিক ৩ কোটি টাকারও বেশি।

অভিযোগে আরও বলা হয়, হামলাকারীরা শাহেদের মোবাইল ফোন, নগদ অর্থ, ব্যাংক কার্ড এবং ব্যবসার গুরুত্বপূর্ণ দলিলপত্র জোরপূর্বক নিয়ে নেয় এবং ব্যাংক লেনদেন করে অর্থ স্থানান্তর করে। এ সময় তাকে জোর করে চেকবই, ব্যবসায়িক স্ট্যাম্প ও প্যাডে স্বাক্ষর করানো হয়। মারধরের সময় ফেসবুক লাইভে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করে তার ব্যক্তিগত ও পেশাগত সুনাম ক্ষুণ্ণ করা হয়।

শাহেদের দাবি, ৯৯৯-এ ফোন করলেও হালিশহর থানা পুলিশ সময়মতো কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি এবং বরং পরিস্থিতি ঘোলাটে করে হামলাকারীদের সঙ্গে সমন্বয় করে তাকে ফের তাদের হাতে তুলে দেয়। ঘটনার পর শাহেদ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন এবং হালিশহর থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ তা গ্রহণে অনীহা প্রকাশ করে। পরে তিনি আদালতের দ্বারস্থ হন।

মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবুল মনছুর সিকদার (সোহেল) বলেন, থানায় মামলা না নেওয়ায় আমার মক্কেল ভুক্তভোগী আদালতে মামলা করেছেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

ট্যাগ :

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপডেটের সময় : ০৩:৩৮:০৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫
৯০১ Time View

দুরন্ত বাজার সুপার শপে হামলা ও লুটপাট: ব্যবসায়ী সাহেব চৌধুরীকে আটকে রেখে নির্যাতনের ঘটনায় আদালতে মামলা

আপডেটের সময় : ০৩:৩৮:০৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫

চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান।। চট্টগ্রাম নগরের হালিশহর থানার পোর্ট কানেকটিং রোডে অবস্থিত দূরন্ত সুপারসপ নামে একটি প্রতিষ্ঠানে হামলা, লুটপাট এবং প্রতিষ্ঠানটির মালিককে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনায় সোমবার (১৬ জুন) ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী নুর মোহাম্মদ শাহেদ (২২) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা করেছেন। এতে ২৩ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং ১০০ থেকে ১২০ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চট্টগ্রাম মেট্রো ইউনিটকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর ও বাদীর আইনজীবী আবুল মনছুর সিকদার। তিনি বলেন, আদালত মামলাটি গ্রহণ করে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।

বিবাদীরা হলেন- মোহাম্মদ রাসেল সরকার (৩৩), কাজী মঞ্জুরুল করিম (৩৫), নার্গিস আক্তার নীলা (৪০), মোহাম্মদ সাব্বির হোসেন (৩৭), পিতা-জসীম উদ্দিন, মোহাম্মদ রিয়াদ (৩৫), শাকিল (৩২), লুৎফুর আমিন (৩৫), বজলুর রহমান (৪৫), জাহেদুল ইসলাম শাহিন (২০), শাহাদাত হোসেন (২০), ইয়াছিন আহম্মদ ফাহিম (২৫), রাশেদা বেগম (৫০), জাহেদা আক্তার সাথী (২৮), ফাতেমা আক্তার (১৯), উর্মি আক্তার (২২), সাজ্জাদ হোসেন (৩২), শিবলু (৩০), রিপন (২২), সাজ্জাদ (২২), মাহমুদ (২২), তাহসিন (২৬), মো. হান্নান (৪৫) ও রুবেল নাথ (৩২)।

মামলার অভিযোগ অনুযায়ী, ৪ জুন বিকাল ২টা থেকে শুরু হয়ে ৫ জুন রাত ১০টা পর্যন্ত একটানা শাহেদকে তার অফিসে আটকে রেখে মারধর করা হয় এবং দাবি করা হয় ৫০ লাখ টাকা চাঁদা। এতে তার অফিস, পণ্য ও ব্যক্তিগত মালামাল লুটপাট করা হয়, যার ক্ষতির পরিমাণ আনুমানিক ৩ কোটি টাকারও বেশি।

অভিযোগে আরও বলা হয়, হামলাকারীরা শাহেদের মোবাইল ফোন, নগদ অর্থ, ব্যাংক কার্ড এবং ব্যবসার গুরুত্বপূর্ণ দলিলপত্র জোরপূর্বক নিয়ে নেয় এবং ব্যাংক লেনদেন করে অর্থ স্থানান্তর করে। এ সময় তাকে জোর করে চেকবই, ব্যবসায়িক স্ট্যাম্প ও প্যাডে স্বাক্ষর করানো হয়। মারধরের সময় ফেসবুক লাইভে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করে তার ব্যক্তিগত ও পেশাগত সুনাম ক্ষুণ্ণ করা হয়।

শাহেদের দাবি, ৯৯৯-এ ফোন করলেও হালিশহর থানা পুলিশ সময়মতো কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি এবং বরং পরিস্থিতি ঘোলাটে করে হামলাকারীদের সঙ্গে সমন্বয় করে তাকে ফের তাদের হাতে তুলে দেয়। ঘটনার পর শাহেদ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন এবং হালিশহর থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ তা গ্রহণে অনীহা প্রকাশ করে। পরে তিনি আদালতের দ্বারস্থ হন।

মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবুল মনছুর সিকদার (সোহেল) বলেন, থানায় মামলা না নেওয়ায় আমার মক্কেল ভুক্তভোগী আদালতে মামলা করেছেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।