উন্নয়ন একটি চলমান প্রক্রিয়া। দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বর এখন বাংলাদেশে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বিশ্বে আজ বিস্ময় । আমি নিশ্চিত বলতে পারি প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার বাংলাদেশ হয়ে উন্নত দেশ । একজন শেখ হাসিনার সার্থকতা এখানেই। তাই তাঁকে শুধুই উন্নত বাংলাদেশের রূপকার হিসেবে চিহ্নিত করলে তা হবে ইতিহাসের প্রতি অন্যায় করা। এই বিভক্ত জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার সবটুকু কৃতিত্ব তার।
১৯৭৫ সালের সপরিবারে বঙ্গবন্ধু হত্যা , ’৭১-এর মানবতাবিরোধী অপরাধ আর সর্বশেষ ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার বিচারের মাধ্যমে বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে বাংলাদেশকে বের করে এনেছেন তিনিই। এদেশে আইনের শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠার কৃতিত্বটুকুও তারই। আমরা চাই এবার তাঁর লড়াই হোক দুর্নীতির বিরুদ্ধে। উল্লেখ্য, দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণের কথা বলা হয়েছে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইস্তেহারে।
মাদকের বিরুদ্ধে তার জিরো টলারেন্স নীতি । শেখ হাসিনা কথা দিলে কথা রাখেন, স্বপ্ন দেখালে স্বপ্ন পূরণ করেন। আমি খুব জানি আজকে তাঁর জাদুর স্পর্শে কালকের বাংলাদেশে দুর্নীতি পালাবে জাদুঘরে। তবে আমার দৃষ্টিতে শেখ হাসিনার সবচাইতে বড় লিগেসি তিনি একটি মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ পুনঃপ্রতিষ্ঠার ভিতটুকু করে দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের যে বাংলাদেশ, তার চারটি সাংবিধানিক ভিত্তিকেই ধসিয়ে দেয়া হয়েছিল ’৭৫-এ তার হত্যাকাণ্ডের পরবর্তী, রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আদালত ঘোষিত অবৈধ সরকারগুলোর আমলে। আগামীর ইতিহাসের শুদ্ধতাকে প্রধানমন্ত্রী নিশ্চিত করেছেন চলমান ইতিহাসকে ঠিকপথে তুলে এনে। আমার পরম প্রশান্তি এই যে, বাংলাদেশের ৫০ আর বঙ্গবন্ধুর ১০০তম জন্মদিন উদ্যাপিত হবে তার রক্ত যার ধমনীতে বহমান, তার সেই যোগ্যতম উত্তরসূরির নেতৃত্বে। বঙ্গবন্ধু বঙ্গবন্ধুই! তার তুলনা শুধু তিনিই! আর তারপর যদি কেউ সেই বিশালত্বের বিন্দুমাত্র স্পর্শ করে থাকেন তবে তিনি শেখ হাসিনা এবং শুধু শেখ হাসিনাই!
আগামী পাঁচ বছরে বাংলাদেশ যে শুধু এই দুটি অনন্য মাইলফলক স্পর্শ করবে তাই নয়, বরং এই মেয়াদেই রচিত হবে ‘শেখ হাসিনা’স টেল’! ইতিহাসে তার স্থান এরই মধ্যে নির্ধারিত হয়ে আছে। এই মেয়াদে নির্ণীত হবে তার উচ্চতা, নির্মিত হবে তার লিগেসি! আমার পরম তৃপ্তি এই যে, তিনি এই যাত্রায় বেছে নিয়েছেন তার বিশ্বস্ততম আস্থাভাজনদের, খোল-নলচে বদলে ফেলেছেন তার মন্ত্রণালয় পরিষদ।
এমনি অসংখ্য পরীক্ষিত সেনানী নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই যে বাংলাদেশ বিজয় আর ইতিহাসের সুউচ্চ শিখরের পানে তার এই যে স্বপ্ন যাত্রা, এতে তার ব্যর্থ হবার শঙ্কা নেই। স্বপ্নের এই ফেরিওয়ালা গড়বেন একের পর এক ইতিহাস, লড়াই করবেন দুর্নীতির বিরুদ্ধে, গৌরবান্বিত করবেন বাংলাদেশের ইতিহাসকে আর আমরা শুধুই স্বপ্নালু নয়নে তাকিয়ে দেখব আর গাইবো ‘জয়তু দেশরত্ন শেখ হাসিনা।
লেখকঃ হৃদয় ফকির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ,জাপান শাখা ।
সাবেক প্রচার সম্পাদক বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, রাশিয়া শাখা।