যশোরে দুদিন পর সূর্যের দেখা মিললেও হাড় কাঁপানো শীতে বিপর্যস্ত জনজীবন। দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল যশোরে। এ ছাড়া জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ২১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বৃহস্পতিবার যশোর বিমানবন্দর আবহাওয়া অফিস থেকে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
শহরের খড়কি এলাকার রিকশাচালক নূর হোসেন বলেন, গত তিন-চারদিন ধরে যে পরিমাণ শীত পড়ছে, তাতে রিকশা চালাতে অনেক কষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু রিকশা না চালালে ভাত জুটবে না। তাই বাধ্য হয়ে পথে নামতে হয়েছে।
যশোর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রফিকুল হাসান বলেন, কয়েক দিন ধরে প্রচণ্ড শীত পড়ছে। এতে মানুষের কষ্ট বেড়েছে। প্রশাসন শীতার্ত মানুষকে সাধ্যমতো সহযোগিতা করছে।
এর আগে, বুধবার যশোরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, রাজশাহী, পাবনা, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, নীলফামারী, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। এ ছাড়া সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।