বিশ্ব উচ্চ রক্তচাপ দিবস আজ। বিশ্বজুড়ে উচ্চ রক্তচাপ একটি নীরব ঘাতক হিসেবে পরিচিত। বাংলাদেশ জনমিতি স্বাস্থ্য জরিপ ২০১৭-১৮-এর হিসেব অনুযায়ী, দেশের মোট জনসংখ্যার শতকরা ২১ শতাংশ বা প্রতি চারজনে প্রায় একজন উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য মতে, বিশ্বে প্রায় ১৫০ কোটি মানুষ উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভুগে থাকেন। আর এই সমস্যায় স্ট্রোক ও হৃদরোগসহ নানা জটিল রোগের ভুগে প্রতি বছর প্রায় ৭০ লাখ মানুষ মৃত্যুবরণ করেন।
উচ্চ রক্তচাপ একটি অসংক্রামক রোগ। এটি বৈশ্বিক মহামারির একটি চালিকাশক্তি এবং বিশ্বব্যাপী মৃত্যু ও অক্ষমতার অন্যতম প্রধান কারণ। বিশ্বব্যাপী অর্ধেকেরও কম প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ তাদের উচ্চ রক্তচাপ বিষয়ে সচেতন। নীরব ঘাতকটির সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ওয়ার্ল্ড হাইপারটেনশন লিগ প্রতি বছর ১৭ মে বিশ্ব উচ্চ রক্তচাপ দিবস পালন করে। দিবসটির এ বছরের প্রতিপাদ্য- ‘আপনার রক্তচাপ সঠিকভাবে পরিমাপ করুন, নিয়ন্ত্রণে রাখুন, দীর্ঘায়ু লাভ করুন।’
ওয়ার্ল্ড হাইপারটেনশন লিগের সদস্য হিসেবে হাইপারটেনশন কমিটি অব ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ ২০০৬ সাল থেকে ১৭ মে দিবসটি পালন করে আসছে। এ বছরও নানা আয়োজনে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন দিবসটি উদযাপন করবে।
উচ্চ রক্তচাপ ও এর লক্ষণ
রক্তচাপ যদি স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে বেড়ে যায় তাহলে তাকে উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন বলা হয়। স্বাভাবিক অবস্থায় একজন প্রাপ্তবয়স্ক সুস্থ মানুষের রক্তচাপের পরিমাপ ১২০/৮০ মি.মি. পারদচাপ ধরা হয়। রক্তচাপের এই মাত্রা দুইটি ভিন্ন দিনে ১৪০/৯০ মি.মি. পারদচাপ বা তার বেশি হয় তবে তাকে উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে বলে ধরা হয়।
তবে বয়স নির্বিশেষে রক্তচাপ কিছুটা কম বা বেশি হতে পারে বলে জানান বিশেষজ্ঞরা। ডায়াবেটিস ও কিডনি রোগীদের ক্ষেত্রে ১৩০/৮০ মি.মি. পারদচাপ-এর অধিক হলে তা উচ্চ রক্তচাপের পর্যায়ে পড়ে।