এম,এ,রাজ্জাক ধামরাই ঢাকা প্রতিনিধি: ঢাকার ধামরাইয়ে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় ৩ গ্রামের কৃষকের শতশত হেক্টর সরিষা ধানসহ কৃষি জমি পানির নিচে রয়েছে। কলকারখানার মালিকরা অপরিকল্পিতভাবে পানির গতিপথ বন্ধ করে মাটি ভরাট করায় এ জলাবদ্ধতা হয়েছে অভিযোগ স্থানীয় কৃষক ও জনপ্রতিনিধিদের। এমন দৃশ্য দেখা গেছে উপজেলার সোমভাগ ইউনিয়নের উত্তর জয়পুরা পশ্চিম পাশে এলাকায়। ফলে কমে যাচ্ছে কৃষি উৎপাদন।
বুধবার বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার সোমভাগ ইউনিয়নের উত্তর জয়পুরা রাস্তার দুই পাশে শিল্পকারখানা তৈরি কারণে পানি নিস্কাশনের নালাগুলি বন্ধ হয়ে গেছে। সেই জন্য কৃষি জমির পানি বের হওয়ার রাস্তা বন্ধ থাকায় জলাবদ্ধতা হয়ে ফসল উৎপাদনে ব্যাহত হচ্ছে।
উত্তর জয়পুরা গ্রামের কৃষক মোঃ রহমান হোসেন জানান, কারখানার মালিকরা তাদের সুবিধার জন্য ইচ্ছেমতো মাটি কেটে বাঁধ দেন। যার ফলে পানি নিষ্কাশন বন্ধ হয়ে যায়। বিঘায় বিঘায় জমি পানির নিচে পড়ে রয়েছে। সঠিকভাবে উদ্যোগ নিলে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা হবে, কৃষকরাও তাদের জমিতে শস্য উৎপাদন করতে পারবে।
সোমভাগ ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম জানান, ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের উত্তর পাশে কলকারখানার মালিকরা তাদের খেয়াল খুশিমত অপরিকল্পিতভাবে পানির গতিপথ বন্ধ করে মাটি ভরাট করায় এমন জলাবদ্ধতা। এছাড়া কিছু সুবিধাবাদী লোক পানির গতি পথে বাধ দিয়ে মাছ চাষ করছে। জমির জলাবদ্ধতা নিরশনের ব্যবস্থা করলে হাজার টন সরিষা ও ধান উৎপাদন সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন জন প্রতিনিধিরা।
জয়পুরা এলাকার কৃষক মোঃ কাশেম আলী জানান, এই সময় আমরা জমিতে সরিষা চাষ করতাম এরপর সরিষা উঠিয়ে আবার ধান চাষ করতাম। এর পর কেউ কেউ পাট চাষ করতো, কিন্তু সরিষা চাষ তো দুরের কথা এখন ধান চাষ করায় মুশকিল। এখন যে পরিমাণ পানি জমিতে আছে তাতে ধান চাষ করা যাবে বলে মনে হয় না। তাই দ্রুত পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা করলে শত শত টন ফসল উৎপাদন করতে পারবে কৃষকরা।
জলবদ্ধতা প্রসঙ্গে সোমভাগ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রভাষক আওলাদ হোসেন বলেন, স্থানীয় কৃষকদের দীর্ঘদিনের দাবী পানি নিষ্কাশন। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা আমিও চাই। পানি যদি সঠিক সময়ে বের করা যায় তাহলে কৃষক তাদের জমিতে সঠিক সময়ে ধান,পাট, সরিষা উৎপাদন করতে পারবে। এতে ফসল উৎপাদন বাড়বে।
এই বিষয়ে ধামরাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আরিফুর রহমান বলেন, সরেজমিনে দেখে পানি নিষ্কাশনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করে কৃষকের জমিতে ফসল উৎপাদনের ব্যবস্থ করবো।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকী বলেন, এ বিষয়ে আমি অবগত ছিলাম না। সরেজমিনে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার চেষ্টা করবো। যাতে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়