প্রতিটি শলাকার দামের ৬০-৮০ শতাংশই শুল্ক-কর হিসেবে এক বছরে সিগারেট ফুঁকে প্রায় ৩৮ হাজার কোটি টাকা দিয়েছেন ধূমপায়ীরা। মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) গত অর্থবছরের সাময়িক হিসাবে শুল্ক-কর আদায়ের চিত্রটি পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, সিগারেট হচ্ছে এনবিআরের জন্য রাজস্ব আদায়ের সবচেয়ে বড় খাত। দেশে পুরো সিগারেটের বাজারের আকার ৫০ হাজার কোটি টাকার বেশি। এর সিংহভাগই রয়েছে বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশের (বিএটিবি) দখলে।
বিদায়ী ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৩১টি কোম্পানি সিগারেট বিক্রির বিপরীতে সরকারকে ৩৭ হাজার ৯১৫ কোটি টাকা শুল্ক-কর দিয়েছে। কোম্পানিগুলো ধূমপায়ীদের পকেট থেকেই এসব কর দিয়েছে।
বিএটিবিসূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালে ৪০ হাজার কোটি টাকার বেশি মূল্যের সিগারেট ও তামাকজাতীয় পণ্য বিক্রি করেছে কোম্পনিটি। এতে তাদের প্রায় ৭ হাজার ১২৩ কোটি ৯০ লাখ শলাকা সিগারেট বিক্রি হয়েছে। এই প্রতিষ্ঠান থেকেই সরকার সিগারেট খাতের ৮০ শতাংশের বেশি রাজস্ব পায়।
ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউয়ের ২০২৩ সালের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে ১৫ বছরের বেশি বয়সী ধূমপায়ীর সংখ্যা ৩৯ শতাংশের মতো।