নওগাঁ জেলা প্রতিনিধিঃ
নওগাঁয় ভাবীর মৃত্যুর খবরে পালিয়েছে দেবর-জনমনে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন।
নিহত গৃহবধূ’র স্বজনদের দাবি মারপিট করে হত্যা করা হয়েছে। এক পর্যায়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে নিহতের স্বামীর স্বজনসহ স্থানিয়রা গৃহবধূর পিতা ও ভাইসহ স্বজনদের সাথে আপোস-মিমাংসার চেষ্টা চালিয়ে বার্থ হয়।
সংবাদ পেয়ে থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে প্রাথমিক সুরতহাল রির্পোট অন্তে ঘটনাস্থল থেকে নিহত গৃহবধূ’র মৃতদেহ উদ্ধার পূর্বক ময়না তদন্ত শেষে মঙ্গলবার ৫ জুলাই মৃতদেহটি স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেছেন। গৃহবধূ মৃত্যুর ঘটনাটি ঘটেছে নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার ভীমপুর ইউনিয়নের খোর্দ্দনারায়নপুর (পালপাড়া) গ্রামে। নিহত গৃহবধূ হলেন, খোর্দ্দনারায়নপুর (পালপাড়া) গ্রামের বলরাম পাল এর স্ত্রী দু’ সন্তানের জননী শিল্পীরানী পাল ওরফে মিলু (৩২)।
স্থানিয়রা জানান, গৃহবধূ শিল্পী রানী পাল মিলু’র সাথে তার স্বামী’র কাকাত ভাই এক সন্তানের জনক “দেবর” গৌতম পাল (৩৩) পরক্রিয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। পরক্রিয়া সম্পর্কের টানে ঘটনার দিন রবিবার ৩ জুলাই সন্ধায় বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে দেবর গৌতম পাল তার ভাবী’র বাড়ির ২য় তলায় ঘড়ে গিয়ে উঠেন। এসময় দেবর গৌতম পালের স্ত্রী ঘটনাস্থলে পৌছে দন্দে লিপ্ত হয় এবং উভয়ের মধ্যে মারপিটের ঘটনা ঘটে। মারপিটের সময় তাদের হৈ চৈ শুনে প্রতিবেশীরা ঘটনাস্থলে জড়ো হয়। এরিমাঝে বলরাম পাল বাড়িতে এসে তার স্ত্রী শিল্পী রানী ওরফে মিলু পালকে অসুস্থ অবস্থায় দেখতে পেয়ে প্রথমে নওগাঁ সদর হাসপাতালে নিলে জখম গুরুতর হওয়ায় দ্বায়িত্বরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন। ঐ রাতেই তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করার মাত্র কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে সোমবার ৪ জুলাই সকাল ৮ টারদিকে মৃত্যু হয়।
মৃত্যুর খবর গ্রামে পোছালে নিহতের দেবর গৌতম পাল বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় বলেও জানিয়েছেন স্থানিয়রা। দুপুরে গৃহবধূর মৃতদেহ গ্রামে নিয়ে আসার পর ঐ গৃহবধূর পিতা-মাতা ও ভাই সহ স্বজনরা মারপিটের ঘটনাসহ দেবর গৌতম পাল পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি জানতে পেরে আপত্তি তোলেন যার ফলে স্থানিয় ইউপি সদস্য সহ স্বামীর পরিবারের স্বজন ও প্রতিবেশীরা ঘটনাটি আপোষ-মিমাংসার জন্য নিহতের পিতা, ভাইসহ স্বজনদের সাথে বৈঠকে বসেন। ঘটনার সংবাদ পেয়ে সংবাদকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌছালে “শিল্পী রানীকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন নিহতের মা ও ছোট বোন। সংবাদ কর্মীদের কাছে নিহতের মা ও ছোট বোন হত্যার অভিযোগ তুলে ধরলে সে মহূর্তে বসা বৈঠকে আপোষ- মিমাংসা বার্থ হয়।
অপরদিকে গৃহবধূ মৃত্যুর খবর পেয়ে মহাদেবপুর থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে প্রাথমিক সুরতহাল রির্পোট অন্তে সোমবার সন্ধায় মৃতদেহটি উদ্ধার পূর্বক মঙ্গলবার নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়ে ময়না তদন্ত শেষে মৃতদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেন।
মৃতদেহ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে মহাদেবপুর থানার ওসি (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ জানান, গৃহবধূ মৃত্যুর খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মৃতদেহ উদ্ধার পূর্বক নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়ে ময়না তদন্ত শেষে মৃতদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এঘটনায় থানায় ইউডি মামলা হয়েছে, ময়না তদন্তের রির্পোট আসার পর মৃত্যুর কারন জানাযাবে বলেও জানান তিনি।