আবুল হাসনাত সজিব:-
আসন্ন কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন উপনির্বাচন-২০২৪ উপলক্ষে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন কুমিল্লা মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি নিজামুদ্দিন কায়সার। আগামী ৯ই মার্চ উপনির্বাচন। রিটার্নিং কর্মকর্তা ও কুমিল্লার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ফরহাদ হোসেন বলেন, ৯ মার্চ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএমে) মাধ্যমে মেয়র পদে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ২০২২ সালের সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে তিনি ঘোড়া প্রতিক নিয়ে প্রথমবারের মতো প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। উক্ত নির্বাচনে তিনি ভোট পেয়েছেন ২৯০৯৯ (২১.৫৯%)। উনার বিপরীতে ছিলেন টানা দুইবারের মেয়র মনিরুল হক সাক্কু; যিনি সর্বমোট ভোট পেয়েছেন- ৪৯৯৬৭ (৩৭.০৭%) এবং ৫৫৩১০ (৩৭.৩৩%) ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত জনাব আরফানুল হক রিফাত। তার ইন্তেকালের পর নতুন করে উপনির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনার।
নির্বাচন নিয়ে প্রার্থীদের মাঝে রয়েছে নানা রকম সমীকরণ। তবে গত নির্বাচনের অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদ্বয়ের মধ্যে চলছে ভোটার নানা হিসাব-নিকাশ। জনগণের দরজায় দরজায় কড়া নাড়ছেন বিগত নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী দুই প্রার্থী।
“ব্যাক্তি নিজামুদ্দিন কায়সার হিসাবে জনগনের জন্য কি করেছেন?” – এ প্রশ্নের জবাবে নিজাম উদ্দিন কাওসার বলেন- আমি কুমিল্লা মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এবং বাংলাদেশ স্বেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় কমিটির কুমিল্লা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলাম। এছাড়াও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক পদে ও ছিলাম। আমাদের রাজনীতিটা ছিল জনগণের জন্য। সব সময় চেষ্টা করেছি কুমিল্লার জনসাধারণের সাথে মিশে থাকতে। সুখ দুঃখে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছি। কখনো অন্যায়কে প্রশ্রয় দেয়নি।
“দল থেকে বহিষ্কার হওয়ার পরেও নির্বাচন করছেন; এতে করে আপনার দলীয় রাজনীতির প্রেক্ষাপটে কোন প্রভাব ফেলবে কিনা? “- এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন- বহিষ্কার সাংগঠনিক একটি নীতিমালা মাত্র। বহিষ্কৃত থেকেও আবার আবিষ্কৃত হওয়া যায়। কিন্তু আমি দলের আদর্শ বিচ্যুত হইনি। সাংগঠনিকভাবে বহিস্কৃত হলেও বিগত দিনগুলোতে দলের বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে আমি রাজপথে ছিলাম।
“এবার নির্বাচনে আপনার জয়ের নিশ্চয়তা কত ভাগ মনে করেন আপনি?” – এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন – আমি নগর পিতা নয়; নগরের সেবক হতে এসেছি। কুমিল্লার মানুষ তাদের মৌলিক অধিকার যেমন খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা, যোগাযোগ ও নিরাপত্তা চায়। আর বিগত দিনগুলোতে কুমিল্লার জনগণ সব মেয়রদের কর্মকাণ্ড পরিলক্ষিত ও পর্যবেক্ষণ করেছেন। কুমিল্লা মহানগরের মানুষ চায় একজন বিচক্ষণ মস্তিষ্কের মেয়র যে কিনা কুমিল্লা মহানগরীকে বাংলাদেশের সর্বশ্রেষ্ঠ মহানগরীতে পরিণত করতে পারবে। বিগত দিনগুলো পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যাবে জনগণের পাশে কারা ছিল। কে কে সাধারণ জনগণের অধিকার আদায় নিয়ে কথা বলেছিল। আমি জনপ্রতিনিধি না হওয়া সত্ত্বেও জনগণের বিপদে আপদে তাদের দরজায় পৌঁছে গিয়েছি। তাই কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের সর্বস্তরের জনগণের দোয়া নিয়েই আমি এই উপনির্বাচনে অংশগ্রহণ করছি।