মতলব উত্তর ব্যুরো : চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার লুধুয়া গরুর হাটের বৃহস্পতিবার ছিলো সাপ্তাহিক হাটের দিন। বৃহস্পতিবার বাংলা ১৪২৯ বাংলা সনের প্রথম গরুর বসে। দীর্ঘ কয়েক বছর পর এ হাটের ইজারাদার পরিবর্তন হওয়ায় এ দিন ক্রেতা-বিক্রেতাদের মুখে ছিলো খঁশির ঝিলিক। আগে তাদের ইজারাদার কর্তৃক অনেক চড়া হাসিল দিতে হতো।
এখন ইজারাদার পরিবর্তন হওয়ায় একদম কম টাকা হাসিল আদায় হচ্ছে। যার কারনে নতুন বছরের প্রথম সাপ্তাহিক হাটের প্রথম দিনেই বেশ জমে উঠেছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে এ হাটে উঠে দেশীয় ছোট বড় গরু। বেচা-কেনা হয়েছে প্রচুর। নতুন ইজারাদার কর্তৃক খাঁজনা কম হওয়াতে খুশি ক্রেতা-বিক্রেতারা।
একটি মহল এ ঐতিহ্যবাহী লুধুয়া গরুর হাট ইজারা না পেয়ে এই গরুর হাটটি না বসাতে পারে সেজন্য নানান অপচেষ্টা চালায়। তাদের নানান ষড়যন্ত্র অপতৎপরতা সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে গতকাল এ হাটটি বসে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে গরুর খামারিরা ও বেপারীরা দেশীয় ছোট-বড় গরু নিয়ে উঠান এ হাটে। গতকাল সরেজমিনে গিয়ে এ হাটে গিয়ে প্রচুর গরুর আমদানী লক্ষ্য করা যায়। বেচা-বিক্রি হয়েচে অনেক। তবে খাজনা কম হওয়াতে ক্রেতা-বিত্রেতারা ছিলো অনেক। তারা জানায় আগে প্রতি গরু প্রতি যে পরিমান হাসিল (খাঁজনা) নিতো এখন মাত্র দুইশ টাকা। এতে আমরা খুশি। এভাবে চলল্লে এ গরুর হাটটি খুব দ্রুত জমে উঠবে। ঐতিহ্য ফিরে পাবে।
লুধুয়া গরুর হাটের ইজারাদার মো. ইউসুফ জানান, লুধুয়ার গরুর হাটটি একটি ঐতিহ্যবাহী গরুর হাট। আগে যেখানে এ গরুর হাট বসতো সেখানে গরুর হাট বসতে দেননি একটি জুলুমবাজ চত্র। বাধ্যহয়ে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সুবিধার্থে আমরা মধ্য লুধুয়ায় আজ গরুর হাট বসিয়েছি। ইনশাল্লাহ প্রথম দিনেই ক্রেতা-বিক্রেতার উপস্থিতি অনেক। অতীতে জাকজমকপূর্ন এ হাটে ক্রেতা-বিক্রেতাদের উপর অনেক জুলুম হয়েছে। আমরা নতুন ইজরা নিয়েছি সরকারের কাছ থেকে। আজকে আমরা একবারে কম হাসিল (খাঁজনা আদায় করছি। এতে করে হাটে ক্রেতা-বিক্রেতারা অনেক খুশি।
এ গরুর বাজারটি আগে যে জমজমাট ছিলো তার ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করবো। ইনশা আল্লাহ সকলের সহযোগিতায় এ বাজারটি এখন থেকে খুবই জমজমাট হবে।