ইয়াছির আরাফাত
জামালপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
জামালপুরের জেলার দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার ৩নং পাররামরামপুর ইউনিয়ন থেকে গতকাল সন্ধ্যার পর নিখোঁজ হয় ভ্যানচালক আশরাফুল ইসলাম ।
সোমবার( ২৩ অক্টোবর) দুপুরে দেওয়ানগঞ্জ থানা পুলিশ ঝালোরচর ব্রহ্মপুত্র নদ-তীরবর্তী একটি ঝোপঝার থেকে তার লাশ উদ্ধার করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,তারাটিয়া বাজারের মোঃ আশরাফুল ইসলাম (১৫) পিতা মোঃ শহিদ মিয়া ইউনিয়ন পাররামরামপুর, থানা দেওয়ানগঞ্জ জামালপুর।
জানা যায় আশরাফুল ইসলাম তারাটিয়া আলহাজ্ব লাল মাহমুদ উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র ছিল। লেখাপড়ার পাশাপাশি তাদের নিজস্ব ভ্যানটি চালিয়ে পড়াশুনা খরচ চালান তিনি।
এ ঘটনায় আটককৃত নয়ন মিয়া একই গ্রামের মোঃ মহল মিয়ার ছেলে। এবং ভাতখাওয়ার গ্ৰামের মোছাঃ ছবেদার ছেলে বাক প্রতিবন্ধী বাবু মিয়া।
হত্যাকারী নয়ন মিয়া জানায়,গতকাল সন্ধ্যায় আশরাফুল ইসলামের ভ্যান গাড়িসহ দেওয়ানগঞ্জের উদ্দেশ্যে বের হয়। তারাটিয়া থেকে দেওয়ানগঞ্জ যাওয়ার মাঝামাঝি বাসেতপুর গ্রামে একটি নির্জন এলাকায় দাঁড়ান। পরে নয়ন ও বাবুসহ আরো তিনজন মিলে ইট দিয়ে তার মাথায় আঘাত করে হত্যা করা হয় । পরে বাসেতপুর গ্রামের আব্দুর রশিদের গোডাউনের পিছনে একটি ঝুপড়ির মধ্যে তার লাশ রেখে গাড়িটি বিক্রির উদ্দেশ্যে দেওয়ানগঞ্জ নিয়ে যায়।
দেওয়ানগঞ্জ বাজার ভ্যান গাড়িটি বিক্রির জন্য লোকজনদের বলেন ।পরে স্থানীয় লোকজন তার পায়ে রক্তের চিহ্ন দেখে দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানায় মুঠোফোনে খবর দেন। এরপর নয়ন কে আটক করেন দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানার চৌকস পুলিশ অফিসার এস,আই, হারুন অর রশিদ এবং এ,এস,আই মোঃ মান্নান মিয়া , তারপর দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে জানা যায়, এই হত্যাকাণ্ডের আসল রহস্য। নয়নের সহযোগিতায় দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানার পুলিশ আশরাফুলের মৃতদেহটি বাসেতপুর গ্রাম থেকে উদ্ধার করেন। পরে আশরাফুলের পরিবার আশরাফুলের মৃত্যু লাশটি সনাক্ত করেন।
এ বিষয়ে দেওয়ানগঞ্জ বকশীগঞ্জ সার্কেল অফিসার সুমন কান্তি চৌধুরী জানান, লাশ সনাক্ত করে ময়নাতদন্তের জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এ ঘটনায় দুইজনকে আটক করেছে দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ।