বিভিন্ন প্রকল্পে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে সিরাজগঞ্জের স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) নির্বাহী প্রকৌশলী সফিকুল ইসলামের কাছে নথি চেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আগামী ১৮ জানুয়ারির মধ্যে তাঁকে আনুষঙ্গিক নথিপত্র জমা দিতে বলেছে দুদক পাবনা কার্যালয়।
জানা গেছে, প্রধান কার্যালয় ও রাজশাহী অঞ্চলের নির্দেশে পাবনা কার্যালয়ের উপপরিচালক খায়রুল হক সফিকুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্ত করছেন। জানতে চাইলে খায়রুল হক বলেন, ‘সিরাজগঞ্জ এলজিইডির কয়েকটি প্রকল্পে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে নির্বাহী প্রকৌশলী সফিকুল ইসলাম ও তাঁর দপ্তরের কর্মকর্তাদের এ বিষয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে।’
গত ১৫ ডিসেম্বর প্রকৌশলী সফিকুলকে পাবনায় বদলির আদেশ হলেও তা ঝুলে গেছে। অভিযোগ রয়েছে, তদন্তে প্রভাব বিস্তারের জন্য সফিকুল ইসলাম সিরাজগঞ্জে থেকে যাওয়ার পাঁয়তারা করছেন।
পাবনা আঞ্চলিক তত্ত্বাবধায়ক কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মনিরুল ইসলাম বলেছেন, ‘বিভিন্ন প্রকল্পে সফিকুলের অনিয়ম ও দুর্নীতির সত্যতা পেয়ে আমরা পাবনা আঞ্চলিক তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী নবিউল ইসলামের কাছে প্রতিবেদন দিয়েছি। সিরাজগঞ্জ থেকে তাঁকে পাবনায় বদলি করা হলেও যোগদান করেননি।’
নবিউল ইসলাম (বর্তমানে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী) বলেছেন, ‘বিগত ১৭ মাসে যেসব ভুলত্রুটি হয়েছে, সেসব শুধরে আগামীতে সফিকুল আরও সক্রিয় হবেন।’
এলজিইডির রাজশাহী অঞ্চলের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী এ বি এম জুলফিকার আলী বলেছেন, ‘গত ১৭ মাসে ঠিকাদারদের সঙ্গে যোগসাজশে দুর্নীতির মাধ্যমে সিরাজগঞ্জের চরম ক্ষতি করেছেন প্রকৌশলী সফিকুল ইসলাম। তিনি আমার প্রত্যয়ন ছাড়া ঠিকাদারদের অর্ধশত কোটি টাকার বিল দিয়েছেন। দুদকের তদন্তে সব সত্য উঠে আসবে।’
জানতে চাইলে সফিকুল ইসলাম বলেন, ‘দুদকের চিঠি পেয়েছি। তদন্ত কর্মকর্তা আনুষঙ্গিক নথিপত্র চেয়েছেন। সেসব জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আগেও তদন্ত করেছে দুদক। প্রয়োজনে বারবার তদন্ত করবে। এতে আমার কোনো সমস্যা নেই।’