ঢাকা , শুক্রবার, ২৫ জুলাই ২০২৫, ১০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ফিটনেসবিহীন রাষ্ট্র চাপিয়ে দিয়ে গেছে শেখ হাসিনা: নাহিদ খোকসা যুব সংঘ ও পাঠাগারের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত জামায়াত নেতাদের বেগম পাড়া কিংবা পিসি পাড়া নেই: ডা. শফিকুর রহমান আবার লড়াই হলে ইসরাইলের ‘মেরুদণ্ড ভেঙে দেবে’ ইরান মোহাম্মদপুরে ছিনতাই, দায়িত্বে গাফিলতিতে ৪ পুলিশ ক্লোজড নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এখন ‘ফ্যাসিজম ও গণহত্যা গবেষণা ইনস্টিটিউট’ টুরিস্ট ভিসায় কাজের উদ্দেশ্যে এসে মালয়েশিয়া এয়ারপোর্ট আটক হলেন অনেক বাংলাদেশী প্যানটোনিক্স টাইগার রান ঢাকা ২০২৫: বাঘ সংরক্ষণে জনসচেতনতা তৈরির মহৎ প্রয়াস মাইলস্টোন ট্র্যাজেডি: নিহতদের পরিবারের খোঁজ নিচ্ছেন তারেক রহমান মাইলস্টোন ট্রাজেডি: দগ্ধ আরও ৬ জনের অবস্থা সংকটাপন্ন

নেতানিয়াহু হিটলারকেও ছাড়িয়ে গেছেন: এরদোগান

সাংবাদিক

ইসরাইলের যুদ্ধবাজ প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু নাৎসি স্বৈরশাসক অ্যাডলফ হিটলারকে ছাড়িয়ে গেছেন বলে মন্তব্য করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। বলেছেন, তিনি ২০ মাসে ৫৯ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছেন। যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু রয়েছেন।

মঙ্গলবার (২২ জুলাই) ইস্তাম্বুলে শুরু হওয়া আন্তর্জাতিক প্রতিরক্ষা শিল্প মেলা (আইডিইএফ) ২০২৫-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে গাজায় গণহত্যার জন্য ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রীকে দায়ী করে তিনি এসব কথা বলেন। খবর ডেইলি সাবাহর।

এরদোগান বলেন, ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে গণহত্যা নিয়ে যারা নীরব থাকবে তারাই এর সঙ্গে জড়িত বলে মন্তব্য করেছেন।

এছাড়া তুরস্ক আজ নিজের শক্তির ওপর দাঁড়িয়ে, নিজের প্রযুক্তিতে বিশ্বে পরিচিত হয়ে উঠছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, এই মেলা শুধু তুরস্কের প্রতিরক্ষা শিল্পের অগ্রগতি নয়, বরং একটি জাতির নিজস্ব সক্ষমতায় দাঁড়িয়ে বিশ্বমঞ্চে উত্থানের প্রতিচ্ছবি।

তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেন, গাজায় যে গণহত্যা চলছে, তা নিয়ে চুপ থাকা মানেই সেই অপরাধে জড়িত থাকা।

তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, আজ আমরা শুধু একটি প্রতিরক্ষা খাতের উন্নয়ন দেখছি না, বরং একটি জাতির স্বাধীনতার পথে অগ্রযাত্রা, নিজের আকাশে ডানা মেলে উড়ার গল্প দেখছি।

এরদোগানের মতে, তুরস্ক নিষেধাজ্ঞা, কূটনৈতিক চাপ ও দ্বিমুখী নীতি বা দ্বিচারিতা অতিক্রম করে আজ বৈশ্বিক প্রতিরক্ষা খাতে শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করেছে।

তার ভাষায়, ১৯৬০-এর দশকে সাইপ্রাস সংকটের সময় ও ১৯৯০-এর দশকে সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ে তথাকথিত মিত্র দেশগুলো থেকে পর্যাপ্ত সহায়তা পায়নি তুরস্ক। ১৯৭৪ সালে সাইপ্রাসে শান্তি অভিযান চালানোর পর আমাদের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল।

এরদোগান স্মরণ করেন, আমরা যুদ্ধবিমান মেরামতের জন্য বিদেশে পাঠালে সেগুলো আটকে রাখা হয়েছিল। এমনকি হ্যাঙ্গারে রাখার জন্য আমাদের কাছ থেকে ভাড়াও নেওয়া হতো। সাধারণ রেডিওর মতো মৌলিক যোগাযোগ যন্ত্রও আমাদের সরবরাহ করা হয়নি।

সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সরকারের সঙ্গে উত্তেজনার সময়েও পশ্চিমা দেশগুলো প্রতিশ্রুতি মানেনি বলেও অভিযোগ করেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, আমরা যখন আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা উন্নয়নে উদ্যোগ নেই, তখন বারবার ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এমনকি একসময় আমাদের আকাশসীমা নিয়মিতভাবে লঙ্ঘন করা হচ্ছিল, আর সেই সময়েই আমাদের দেশ থেকে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল।

ট্যাগ :

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপডেটের সময় : ০৪:৫৫:৪১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫
৫২৫ Time View

নেতানিয়াহু হিটলারকেও ছাড়িয়ে গেছেন: এরদোগান

আপডেটের সময় : ০৪:৫৫:৪১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫

ইসরাইলের যুদ্ধবাজ প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু নাৎসি স্বৈরশাসক অ্যাডলফ হিটলারকে ছাড়িয়ে গেছেন বলে মন্তব্য করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। বলেছেন, তিনি ২০ মাসে ৫৯ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছেন। যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু রয়েছেন।

মঙ্গলবার (২২ জুলাই) ইস্তাম্বুলে শুরু হওয়া আন্তর্জাতিক প্রতিরক্ষা শিল্প মেলা (আইডিইএফ) ২০২৫-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে গাজায় গণহত্যার জন্য ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রীকে দায়ী করে তিনি এসব কথা বলেন। খবর ডেইলি সাবাহর।

এরদোগান বলেন, ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে গণহত্যা নিয়ে যারা নীরব থাকবে তারাই এর সঙ্গে জড়িত বলে মন্তব্য করেছেন।

এছাড়া তুরস্ক আজ নিজের শক্তির ওপর দাঁড়িয়ে, নিজের প্রযুক্তিতে বিশ্বে পরিচিত হয়ে উঠছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, এই মেলা শুধু তুরস্কের প্রতিরক্ষা শিল্পের অগ্রগতি নয়, বরং একটি জাতির নিজস্ব সক্ষমতায় দাঁড়িয়ে বিশ্বমঞ্চে উত্থানের প্রতিচ্ছবি।

তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেন, গাজায় যে গণহত্যা চলছে, তা নিয়ে চুপ থাকা মানেই সেই অপরাধে জড়িত থাকা।

তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, আজ আমরা শুধু একটি প্রতিরক্ষা খাতের উন্নয়ন দেখছি না, বরং একটি জাতির স্বাধীনতার পথে অগ্রযাত্রা, নিজের আকাশে ডানা মেলে উড়ার গল্প দেখছি।

এরদোগানের মতে, তুরস্ক নিষেধাজ্ঞা, কূটনৈতিক চাপ ও দ্বিমুখী নীতি বা দ্বিচারিতা অতিক্রম করে আজ বৈশ্বিক প্রতিরক্ষা খাতে শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করেছে।

তার ভাষায়, ১৯৬০-এর দশকে সাইপ্রাস সংকটের সময় ও ১৯৯০-এর দশকে সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ে তথাকথিত মিত্র দেশগুলো থেকে পর্যাপ্ত সহায়তা পায়নি তুরস্ক। ১৯৭৪ সালে সাইপ্রাসে শান্তি অভিযান চালানোর পর আমাদের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল।

এরদোগান স্মরণ করেন, আমরা যুদ্ধবিমান মেরামতের জন্য বিদেশে পাঠালে সেগুলো আটকে রাখা হয়েছিল। এমনকি হ্যাঙ্গারে রাখার জন্য আমাদের কাছ থেকে ভাড়াও নেওয়া হতো। সাধারণ রেডিওর মতো মৌলিক যোগাযোগ যন্ত্রও আমাদের সরবরাহ করা হয়নি।

সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সরকারের সঙ্গে উত্তেজনার সময়েও পশ্চিমা দেশগুলো প্রতিশ্রুতি মানেনি বলেও অভিযোগ করেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, আমরা যখন আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা উন্নয়নে উদ্যোগ নেই, তখন বারবার ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এমনকি একসময় আমাদের আকাশসীমা নিয়মিতভাবে লঙ্ঘন করা হচ্ছিল, আর সেই সময়েই আমাদের দেশ থেকে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল।