উত্তর আটলান্টিক নিরাপত্তা জোট বা ন্যাটোর সদস্য হতে আর ইচ্ছুক নয় ইউক্রেন। এছাড়া দোনেৎস্ক এবং লুহানস্ক অঞ্চল নিয়েও রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি হয়েছে তারা।
বুধবার (৮ মার্চ) মার্কিন সংবাদমাধ্যম এবিসি টেলিভিশনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা জানান ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।।
সাক্ষাৎকারে জেলেনস্কি জানিয়েছেন, তিনি আর ন্যাটোর সদস্য হতে ইচ্ছুক নন। তিনি বুঝে গেছেন, ইউক্রেনকে গ্রহণ করতে ন্যাটো প্রস্তুত নয়। বিতর্কের ভয় পায় এ জোট। রাশিয়ার সঙ্গে সংঘাতে যেতেও চায় না তারা।
‘আমি এমন একটা দেশের প্রেসিডেন্ট থাকতে চাই না, যারা হাঁটু গেড়ে ভিক্ষা চায়।’- বলেন জেলেনস্কি।
এ ছাড়া রাশিয়ার প্রতি সুর নরম করে ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট দুই অঞ্চলকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টিও মেনে নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন।
জেলেনস্কি জানান, দোনেস্ক ও লুহানস্কের বিষয়েও ছাড় দিতে রাজি আছেন তিনি। অর্থাৎ এ দুই অঞ্চলকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে রাশিয়ার যে দাবি, সেটি তিনি মেনে নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, ‘আমরা হুমকি মেনে নিতে প্রস্তুত নই। যেটা দরকার, তা হলো, প্রেসিডেন্ট পুতিন আমাদের সঙ্গে কথা বলুন।’
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ভোরে ইউক্রেনে হামলা শুরু করে রাশিয়ান সৈন্যরা। হামলা শুরুর পর এক সপ্তাহের মধ্যেই পূর্ব ইউরোপের এই দেশটির বহু শহর কার্যত ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে। সামরিক অবকাঠামোর বাইরে রাশিয়ার হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে আবাসিক ভবন, স্কুল ও হাসপাতাল। ধ্বংস হয়ে গেছে সামরিক-বেসামরিক বহু অবকাঠামো। আর এই পরিস্থিতিতে যুদ্ধ বন্ধের জন্য রাশিয়ার ওপর বাড়ছে চাপ।
যুদ্ধ বন্ধের জন্য রাশিয়া যে দাবিগুলো করেছে, তার মধ্যে অন্যতম হলো- ইউক্রেন কখনোই সামরিক জোট ন্যাটো এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সদস্য হতে পারবে না। এছাড়া ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দোনেৎস্ক ও লুহানস্কের স্বাধীনতার স্বীকৃতি দিতে হবে বলেও জানিয়েছে রাশিয়া।