প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, স্বাধীন বিচার বিভাগ, শক্তিশালী সংসদ ও প্রশাসন একটি দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখে। ন্যায়বিচার প্রাপ্তিতে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছে সরকার।
শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে বঙ্গবন্ধু আর্ন্তজাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সাউথ এশিয়ান কনস্টিটিউশনাল কোর্টস ইন দা টোয়েন্টি ফার্স্ট সেঞ্চুরি : লেসন ফ্রম বাংলাদেশ অ্যান্ড ইন্ডিয়া শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় নির্বাচন কমিশন ও বিচার বিভাগকে স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হয়েছে। স্বাধীন বিচার বিভাগ, শক্তিশালী সংসদ ও প্রশাসন একটি দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখে। বিচারহীনতার সংস্কৃতির ভুক্তভোগী বঙ্গবন্ধু কন্যা ইনডেমনিটির তিক্ততা স্মরণ করিয়ে বলেন, ন্যায়বিচার প্রাপ্তিতে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছে সরকার। ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার বন্ধ করেছিল তৎকালীন সরকার। ন্যায়বিচার নিশ্চিতেই ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আসতে হয়েছে।
পঞ্চম ও সপ্তম সংশোধনীর রায়ের আলোকে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের পথ বন্ধ হয়েছে উল্লেখ করে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় সুপ্রিম কোর্টের অবদানের কথাও সামনে আনেন শেখ হাসিনা। স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব ধ্বংসে পঁচাত্তর পরবর্তী সামরিক শাসকের ভূমিকার কথাও এ সময় তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।
এ ছাড়া ভারতের জুডিশিয়াল একাডেমিতে দেশের নয় শ বিচারপতির প্রশিক্ষণের জন্য কৃতজ্ঞতাও জানান তিনি। শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসায় দেশে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রয়েছে এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে।
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ভারতের প্রধান বিচারপতি ড. ধনঞ্জয় যশবন্ত চন্দ্রচূড়, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি এম এনায়েতুর রহিম প্রমুখ।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতিগণ, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিগণ, ভারতের সুপ্রিম কোর্ট ও কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতিগণ, সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা, সংসদ সদস্য ও বিজ্ঞ আইনজীবীরা।