প্রস্তাবিত বাজেটে আয়কর রিটার্নের বাধ্যতামূলক ২০০০ টাকা ন্যূনতম কর নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য বোঝা হবে।
এই দুই হাজার টাকা কর তুলে দেয়া উচিত বলে মনে করছে গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।
শুক্রবার (২ জুন) রাজধানীর একটি হোটেলে বাজেট পরবর্তী ব্রিফিংয়ে এমন সুপারিশ করেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিপিডির সম্মানিত ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান।
সিপিডি মনে করছে, কারও আয় করমুক্ত সীমার নিচে হলেও সরকারি ৩৮টি সেবা নিতে টিআইএনের বিপরীতে দুই হাজার টাকা কর নেয়ার বিধানটি বৈষম্যমূলক।
ব্রিফিংয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন কালে তিনি বলেন, করমুক্ত আয়ের সীমা বাড়ানোর কথা বলেছিলাম। সীমারেখা তিন লাখ থেকে সাড়ে তিন লাখ করা হয়েছে, যা একটি ভালো দিক।
তিনি আরও বলেন, ৩৮ সরকারি-বেসরকারি সেবা নিতে গেলে সেবাগ্রহীতার ট্যাক্স রিটার্ন সাবমিট করতে হবে এবং আয় যাই হোক দুই হাজার টাকা কর দিতে হবে, সেটা অবিবেচনা প্রসূত। এ ধরনের কর নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য বোঝা হয়ে যাবে। এই দুই হাজার টাকা ন্যূনতম কর তুলে দেওয়া উচিত।
ফাহমিদা বলেন, চলমান অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলার ক্ষেত্রে প্রস্তাবিত বাজেটে স্বীকৃতি ও সমাধান দুটোই অপ্রতুল। সামষ্টিক অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে প্রস্তাবিত বাজেটে যে প্রস্তাব করা হয়েছে, তা বাস্তবতা বিবর্জিত।
এবারের বাজেটের মূল দর্শন হলো- ২০৪১ সালের মধ্যে সুখী-সমৃদ্ধ উন্নত স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ। স্মার্ট বাংলাদেশ চারটি মূল স্তম্ভের ওপর প্রতিষ্ঠিত হবে। স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট গভর্নমেন্ট, স্মার্ট সোসাইটি ও স্মার্ট ইকোনমি।
এর আগে, বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জাতীয় সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করেন। অর্থমন্ত্রী তার বাজেট বক্তৃতায় প্রস্তাব করেন ৩৮ ধরনের সরকারি-বেসরকারি সেবা নিতে আয়কর সনদ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। আয়কর সনদ না হলে এসব সেবা পাওয়া যাবে না। আয়কর সনদ নেয়ার ক্ষেত্রে করযোগ্য আয় না থাকলেও কর দিতে হবে দুই হাজার টাকা।