ঢাকা , বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ২০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :

পটুয়াখালী-৩ আসনে বিএনপির তৃণমূলের আস্থা হাসান মামুন

মহিউদ্দিন টিটু, ষ্টাফ রিপোর্টার

ঘনিয়ে আসছে এয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন, বাজছে ভোটের দামামা। নির্বাচনী আলোচনায় মেতে উঠেছে শহর থেকে গ্রাম এমনকি রাস্তার মোরে মোরে চায়ের আড্ডায়। নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে আলোচনার মাত্রাও ততো বৃদ্ধি পাচ্ছে। জুলাই বিপ্লবে হাসিনা সরকার পালিয়ে যাওয়ার পর বহুবছরের মিত্র দুই দল বিএনপি এবং জামায়াত এখন একে অপরের প্রতিদন্দী হয়ে উঠছে। তাদের সাথে যুক্ত হচ্ছে ছোট ছোট দল গুলোও। কেউবা বিএনপির সাথে আবার কেউবা জামায়াতের সাথে যুক্ত হয়ে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। এরই মধ্যে প্রাথমিক ভাবে ২৩৭ টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিএনপি। ধারণা করা হয় বাকি ৬৩ টি আসন ছাড় দেওয়া হতে পারে জোটের শরিকদের জন্য। বিএনপি সাথে জোটে কারা থাকছে কারা থাকছেনা সেটাও চুরান্ত হয়নি তবে কিছু ইসলামী দলসহ ছোট ছোট কিছু দল তদের জোট সঙ্গী হচ্ছে এটা নিশ্চিত।
পটুয়াখালী জেলার চারটি আসনের মধ্যে ইতমধ্যে দুটি আসনের প্রার্থী ঘোষণা করা হলেও ঘোষণা করেনি পটুয়াখালী-৩ আসনের প্রার্থী। আওয়ামী দূর্গখ্যাত গলাচিপা-দশমিনা নিয়ে গঠিত আসনটিতে ৯৬ সালের নির্বাচনে আলহাজ্ব মোঃ শাহজাহান খান নির্বাচিত হলেও তারপর আর বিএনপি এই আসন উদ্ধার করতে পারেনি। স্থানীয় নেতাকর্মীদের মতে বর্তমান সময় এই আসনে বিএনপি সবচেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে। তবে গত ৩ নভেম্বর সাড়াদেশে প্রার্থী ঘোষণা করলেও ঘোষণা করা হয়নি এই আসনে। তাই বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে জোটের প্রার্থী নিয়ে একটু সংশয় থাকলেও তারা অন্য কোনো প্রার্থী মেনে নিবেনা। স্থানীয় নেতাকর্মীদের সাথে যোগাযোগ করা হলে উঠে আসে এসব বক্তব্য।
স্থানীয় নেতা ও গলাচিপা উজেলা সেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মোহম্মদ আলী জিন্নাহ বলেন দলের প্রশ্নে কোনো আপস নেই। স্থানীয় নেতাকর্মীরা উপজেলা, ইউনিয়ন এমনকি ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মীরাও কোনো জোট বা হাসান মামুন ভাইয়ের বিকল্প কাউকে মেনে নিবেনা। ফ্যাসিষ্টের বিরুদ্ধে যার নেতৃত্বে মাঠে লড়াই সংগ্রাম করেছি তার বিকল্প আমরা কাউকে মেনে নিবনা প্রোয়োজনে জাতীয়তাবাদী শক্তি নিয়ে মাঠে মামুন ভাই এবং ধানের শীষ এর জন্য লড়াই করে যাব ইনশাআল্লাহ।
সাধারণ জনগন মনে করে আওয়ামীলীগ না থাকায় এই আসনে বিএনপির ক্ষুরধার বেড়েছে অনেকটাই। তবে বাগড়া হয়েছে গণঅধীকার পরিষদ। যদি তারা বিএনপির সাথে জোট করে তবে বিএনপি হয়তো এই আসন ছেড়েও দিতে পারে। কিন্তু স্থানীয় নেতা কর্মীরা কোনো জোটের প্রার্থী বা অন্য কোনো দলের প্রার্থীর ব্যাপারে ছাড় দিতে নারাজ।
ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি ও সেচ্ছাসেকদল কেন্দ্রীয় নেতা শাহদাৎ হোসেন সোহাগ বলেন দল যাকে নমিনেশন দিবে তার হয়ে হয়েই আমরা কাজ করবো কিন্তু দল এমন কোনো সিদ্ধান্ত নিবেনা যেটা দল অথবা কর্মীর জন্য হিতেবিপরীত হবে। আমরা চাই বিগত দিনে আন্দোলন সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়ে জেলযুলুমের স্বীকার হয়েছে এবং ২০০৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সভাপতি হওয়া থেকে শুরু করে শতশত মানুষের কর্মসংস্থানের মাধ্যমে মানুষের ভাগ্যন্নয়েনে কাজ করেছে তাকেই আমরা ধানের শীষ এর প্রার্থী হিসেবে মেনে নিব। এর বাইরে আমরা কাউকে মেনে নিবনা। যেমনটা হয়েছিল ২০১৮ সালে গোলাম মাওলা রানিকে দিয়ে।
গলাচিপা উপজেলা শ্রমিকদলের সদস্যসচিব মেহেদী হাসান বাবু’র ভাষ্যমতে কোনো জোট বা অন্য কোনো দলের প্রার্থী গালাচিপা-দশমিনা বিএনপির জনগন মেনে নিবেনা। গত ত্রিশ থেকে পয়ত্রিশ বছরের রাজনীতে যার কোনো কলঙ্ক নেই। সব সময় মানুষের পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছেন। আর জোটের যে প্রার্থীর কথা শুনতেছি তার ব্যাপারেও আপনারা খোজ নিয়ে দেখেন তার অপকর্ম, ফ্যাসিষ্টপৃতী ও তার কর্মীপরিচয়। গালাচিপা-দশমিনার সাধারন মানুষ হাসান মামুন ভাই ও বিএনপি প্রার্থীর বিকল্প কাউকে মেনে নিবেনা।
সাধরন মানুষও মনে করে আওয়ামী দূর্গে হাসান মামুন ছাড়া বিএনপির কোনো পার্থী এ আসন উদ্ধার করতে পারবে বলে মনে হয়না।
পটুয়াখালী-৩ এর সাধারন মানুষের চাওয়া ও পাওয়ার সমীকরণ কতটা মিলবে সেটা নির্ভর করছে দল ও দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের উপর।

ট্যাগ :

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপডেটের সময় : ১০:২৯:১৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ নভেম্বর ২০২৫
৫৯০ Time View

পটুয়াখালী-৩ আসনে বিএনপির তৃণমূলের আস্থা হাসান মামুন

আপডেটের সময় : ১০:২৯:১৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ নভেম্বর ২০২৫

ঘনিয়ে আসছে এয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন, বাজছে ভোটের দামামা। নির্বাচনী আলোচনায় মেতে উঠেছে শহর থেকে গ্রাম এমনকি রাস্তার মোরে মোরে চায়ের আড্ডায়। নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে আলোচনার মাত্রাও ততো বৃদ্ধি পাচ্ছে। জুলাই বিপ্লবে হাসিনা সরকার পালিয়ে যাওয়ার পর বহুবছরের মিত্র দুই দল বিএনপি এবং জামায়াত এখন একে অপরের প্রতিদন্দী হয়ে উঠছে। তাদের সাথে যুক্ত হচ্ছে ছোট ছোট দল গুলোও। কেউবা বিএনপির সাথে আবার কেউবা জামায়াতের সাথে যুক্ত হয়ে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। এরই মধ্যে প্রাথমিক ভাবে ২৩৭ টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিএনপি। ধারণা করা হয় বাকি ৬৩ টি আসন ছাড় দেওয়া হতে পারে জোটের শরিকদের জন্য। বিএনপি সাথে জোটে কারা থাকছে কারা থাকছেনা সেটাও চুরান্ত হয়নি তবে কিছু ইসলামী দলসহ ছোট ছোট কিছু দল তদের জোট সঙ্গী হচ্ছে এটা নিশ্চিত।
পটুয়াখালী জেলার চারটি আসনের মধ্যে ইতমধ্যে দুটি আসনের প্রার্থী ঘোষণা করা হলেও ঘোষণা করেনি পটুয়াখালী-৩ আসনের প্রার্থী। আওয়ামী দূর্গখ্যাত গলাচিপা-দশমিনা নিয়ে গঠিত আসনটিতে ৯৬ সালের নির্বাচনে আলহাজ্ব মোঃ শাহজাহান খান নির্বাচিত হলেও তারপর আর বিএনপি এই আসন উদ্ধার করতে পারেনি। স্থানীয় নেতাকর্মীদের মতে বর্তমান সময় এই আসনে বিএনপি সবচেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে। তবে গত ৩ নভেম্বর সাড়াদেশে প্রার্থী ঘোষণা করলেও ঘোষণা করা হয়নি এই আসনে। তাই বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে জোটের প্রার্থী নিয়ে একটু সংশয় থাকলেও তারা অন্য কোনো প্রার্থী মেনে নিবেনা। স্থানীয় নেতাকর্মীদের সাথে যোগাযোগ করা হলে উঠে আসে এসব বক্তব্য।
স্থানীয় নেতা ও গলাচিপা উজেলা সেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মোহম্মদ আলী জিন্নাহ বলেন দলের প্রশ্নে কোনো আপস নেই। স্থানীয় নেতাকর্মীরা উপজেলা, ইউনিয়ন এমনকি ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মীরাও কোনো জোট বা হাসান মামুন ভাইয়ের বিকল্প কাউকে মেনে নিবেনা। ফ্যাসিষ্টের বিরুদ্ধে যার নেতৃত্বে মাঠে লড়াই সংগ্রাম করেছি তার বিকল্প আমরা কাউকে মেনে নিবনা প্রোয়োজনে জাতীয়তাবাদী শক্তি নিয়ে মাঠে মামুন ভাই এবং ধানের শীষ এর জন্য লড়াই করে যাব ইনশাআল্লাহ।
সাধারণ জনগন মনে করে আওয়ামীলীগ না থাকায় এই আসনে বিএনপির ক্ষুরধার বেড়েছে অনেকটাই। তবে বাগড়া হয়েছে গণঅধীকার পরিষদ। যদি তারা বিএনপির সাথে জোট করে তবে বিএনপি হয়তো এই আসন ছেড়েও দিতে পারে। কিন্তু স্থানীয় নেতা কর্মীরা কোনো জোটের প্রার্থী বা অন্য কোনো দলের প্রার্থীর ব্যাপারে ছাড় দিতে নারাজ।
ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি ও সেচ্ছাসেকদল কেন্দ্রীয় নেতা শাহদাৎ হোসেন সোহাগ বলেন দল যাকে নমিনেশন দিবে তার হয়ে হয়েই আমরা কাজ করবো কিন্তু দল এমন কোনো সিদ্ধান্ত নিবেনা যেটা দল অথবা কর্মীর জন্য হিতেবিপরীত হবে। আমরা চাই বিগত দিনে আন্দোলন সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়ে জেলযুলুমের স্বীকার হয়েছে এবং ২০০৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সভাপতি হওয়া থেকে শুরু করে শতশত মানুষের কর্মসংস্থানের মাধ্যমে মানুষের ভাগ্যন্নয়েনে কাজ করেছে তাকেই আমরা ধানের শীষ এর প্রার্থী হিসেবে মেনে নিব। এর বাইরে আমরা কাউকে মেনে নিবনা। যেমনটা হয়েছিল ২০১৮ সালে গোলাম মাওলা রানিকে দিয়ে।
গলাচিপা উপজেলা শ্রমিকদলের সদস্যসচিব মেহেদী হাসান বাবু’র ভাষ্যমতে কোনো জোট বা অন্য কোনো দলের প্রার্থী গালাচিপা-দশমিনা বিএনপির জনগন মেনে নিবেনা। গত ত্রিশ থেকে পয়ত্রিশ বছরের রাজনীতে যার কোনো কলঙ্ক নেই। সব সময় মানুষের পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছেন। আর জোটের যে প্রার্থীর কথা শুনতেছি তার ব্যাপারেও আপনারা খোজ নিয়ে দেখেন তার অপকর্ম, ফ্যাসিষ্টপৃতী ও তার কর্মীপরিচয়। গালাচিপা-দশমিনার সাধারন মানুষ হাসান মামুন ভাই ও বিএনপি প্রার্থীর বিকল্প কাউকে মেনে নিবেনা।
সাধরন মানুষও মনে করে আওয়ামী দূর্গে হাসান মামুন ছাড়া বিএনপির কোনো পার্থী এ আসন উদ্ধার করতে পারবে বলে মনে হয়না।
পটুয়াখালী-৩ এর সাধারন মানুষের চাওয়া ও পাওয়ার সমীকরণ কতটা মিলবে সেটা নির্ভর করছে দল ও দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের উপর।